347973

মায়ের ‘প’রকীয়ার বলি’ সামিউল, হ’ত্যা মা’মলার রায় ৮ ডিসেম্বর

মা আয়েশা হুমায়রা এশার (৩০) পর’কীয়ার বলি শিশু খন্দকার শামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হ’ত্যা মা’মলায় আগামী ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করবেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম মাম’লাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

আজ জামিনে থাকা নিহত সামিউলের মা আ’সামি আয়েশা হুমায়রা এশা আদালতে হাজির ছিলেন না। তাই আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর অপর আ’সামি বাক্কু উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর পলাতক রয়েছেন।

মাম’লাটিতে এর আগে আদালত সামিউলের বাবা ও মা’মলার বাদী কে এ আজমসহ ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। কে এ আজম এর মধ্যে মারা গেছেন।

প’রকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে আয়েশার অনৈতিক মেলামেশা দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন প্রথমে শামিউলকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’ত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

শামিউল রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংলিশ মিডিয়ামে প্লে গ্রুপের ছাত্র ছিল। মা’মলায় বলা হয়, ২০১০ সালের ২২ জুন নিহত সামিউল বাসার সামনে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ২৪ জুনই আদাবর থানায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলায় এশা এবং বাক্কু উভয় হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

মা’মলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মা’মলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অভি’যোগ গঠন করেন।

ad

পাঠকের মতামত