347991

খুতবার আগে স’ন্ত্রাস ও জ’ঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্যের নির্দেশনা

জ’ঙ্গি ও স’ন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) এক জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম মানব জাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোন অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে স’ন্ত্রাস ও জ’ঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স’ন্ত্রাস ও জ’ঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। স’ন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর। জ’ঙ্গি ও স’ন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।’

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাগণের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে স’ন্ত্রাস ও জ’ঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সকল মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সকল মসজিদের খতিব-ইমামগণ জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে স’ন্ত্রাস ও জ’ঙ্গিবাদ বি’রোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সম্বলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জ’ঙ্গি ও স’ন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ad

পাঠকের মতামত