347693

মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

মার্কিন নির্বাচনে হারলেও নির্বাচনের ফল পাল্টাতে শেষবারের মতো মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসতে তার এমন বেপরোয়া আচরণ মার্কিন ইতিহাসে প্রথম বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

এতে বলা হয়, নির্বাচনের ফল পাল্টিয়ে নিজে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে আইনি লড়াই করে রীতিমতো হেরেছেনও তিনি। তারপরও সম্প্রতি মিশিগান অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকানদের হোয়াইট হাউসে ডেকেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের স্পষ্ট কৌশল হলো মিশিগান অঙ্গরাজ্য এবং রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলোতে ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা এ নির্বাচনকে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন ঘোষণা করেছেন।

ট্রাম্পের অন্যতম আইনজীবী সিডনি পাওয়েল গত বৃহস্পতিবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘দোদুল্যমান সকল রাজ্যে ফল পাল্টানো উচিত এবং ট্রাম্পকে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে নির্বাচিত করা উচিত।’

মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আইনসভার নেতা ও সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মাইক শিরকি এবং হাউস স্পিকার লি চ্যাটফিল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন।

এর আগে মাইক শিরকি রিগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভকারী ও মিডিয়ার প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। তারা শিরকির কাছে জানতে চান নির্বাচনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রমাণ কোথায়? বিক্ষোভকারীরা ফল মেনে নেওয়ার কথা জানান তাকে।

তবে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে গেলেও শিরকি এবং চ্যাটফিল্ড নির্বাচনী প্রক্রিয়া মেনে চলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ফলাফল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা আছে এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজের বিষয়ে আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। এ প্রক্রিয়ায় কোনো ভয় বা হুমকির কোনো কারণ নেই।

বিশেষজ্ঞরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ চেষ্টাকে অনৈতিক দাবি করে তা প্রত্যাখান করেছেন। তারা বলেছেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে এভাবে বাধাগ্রস্ত করার কোনো মানে হয় না। ট্রাম্প যদি এ নির্বাচনের ফল পাল্টানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় তবে তা আমেরিকানদের মনে দাগ কাটবে। যা মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য জঘন্যতম হুমকি হিসেবে কাজ করবে। এক টুইট বার্তায় ডেমোক্র্যাটিক দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপার্থী হিলারি ক্লিনটনও বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন।

ad

পাঠকের মতামত