347605

সৌদিতে দুর্নীতিবি’রোধী অ’ভিযানে রাতভর পে’টানো হতো অ’ভিযুক্ত যুবরাজদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্নীতিবি’রোধী অ’ভিযানের অংশ হিসেবে সুইস ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টিতে ২০১৭ সালে কয়েকজন সৌদি প্রিন্সকে রাতভর বেধড়ক পে’টানো হয়।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির শীর্ষ অ’ভিজাত ব্যবসায়ী ও কয়েকজন প্রিন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরো’ধী শক্ত অ’ভিযান পরিচালনা করেন।ওই অ’ভিযানে রিৎজ কার্লটন হোটলকে ব্যবহার করা হয়।যেখানে অ’ভিযুক্তদের দিনের পর দিন বন্দী করে রাখা হয়। আ’টককৃতদের মধ্যে ছিলেন ধনাঢ্য প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল।যাকে ৮০ দিন আ’টকে রাখা হয়।

আরেকজন ছিলেন সৌদি ন্যশনাল গার্ডের প্রধান প্রিন্স মেতিয়েব বিন আব্দুল্লাহ।পরবর্তীতে ১ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওই সময়ে আ’টক হওয়া একজন জানান, কিভাবে সবার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, আ’টক সৌদি যুবরাজদের দেয়ালের সাথে বেঁধে পে’টানো হতো। কাউকে কাউকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্নীতিবি’রোধী ওই অ’ভিযানে ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে সরকার। তবে ভিন্ন একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত অর্থের পরিমাণ ২৮ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আ’টককৃত কয়েকজন জানান, কি কারণে তাদের আট’ক করা হয়েছিল, তাও তারা জানেন না। এটি ছিলো স্রেফ ব্লাকমেইল।তবে চাপ দেয়া সত্ত্বেও কয়েকজন বন্দী কোনো ধরনের স্বাক্ষর করতে রাজি হননি।

সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল পরবর্তীতে ঘোষণা করেন, সরকার আ’টককৃতদের সম্পত্তি, অর্থ ও বাণিজ্যিক সত্ত্ব জব্দ করে। দুর্নীতিবি’রোধী ওই অ’ভি’যানে ৩৮১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর আ’টক করা হয় ব্যবসায়ী ও প্রিন্সসহ ১৭ জনকে।

সূত্র জানায়, দুর্নীতি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ ও পে’টানোর আগে আট’ককৃতের সাথে নরম ব্যবহার করা হতো। পরে রিৎজ কার্লটন হোটেলের দেয়ালের সাথে বেঁধে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পে’টানো হতো বন্দীদের।
ঘটনার এক মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে এসে হোটেলটিতে অবস্থান করেন।

দুর্নীতিবি’রোধী অ’ভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স দেশটিতে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন।যার মধ্যে ছিল প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোয় অনুমতি। তবে তুরস্কে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হ’ত্যার অ’ভিযোগে তার ইমেজে অনেকখানি ভাটা পড়ে।

ad

পাঠকের মতামত