347435

স্বামী কমিশনের লোভে বিশেষ অঙ্গ কে’টে হিজড়া, বেকায়দায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

‘আমি তো লোকলজ্জা ও মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছুই বলতে পারছি না। পাঁচ ও তিন বছরের সন্তান ছাড়াও আগত আরেক সন্তানের মা হয়েও স্বামী তার লিঙ্গ কে’টে হয়েছেন হিজড়া। কমিশনের প্রলোভনে কথিত হিজড়ারা গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রতিবাদ করায় দা উঁচিয়ে চুলের মুঠি ধরে প্রা’ণনাশের হু’মকি দিচ্ছে স্বামী’- কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই প্রতিনিধির কাছে বুধবার কথাগুলো বলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের এক গৃহবধু (২৫)। তিনি এ ঘটনার বি’চার দাবি করেন। সেই সঙ্গে থানায় গিয়ে লিখিত অ’ভিযোগও দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হিজড়া হওয়া ওই ব্যক্তিটি হচ্ছেন জাকির হোসেন (৩২)-রা ছয় ভাই। নিজের জমিজমা চাষাবাদ ছাড়াও বাড়ির পাশেই মুদি দোকানি ছিলেন। সুখের সংসার ছিল তার।

পরিবারের লোকজন জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জাকিরের মধ্যে অস্বাভাবিক আ’চরণ বিরাজ করছিল। মেয়েদের মতো ভাব ভঙ্গি নিয়ে এদিক-সেদিক চলাফেরা করত। জাকিরের স্ত্রী জানান, গত এক সপ্তাহ আগে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ব্যতিক্রম পোশাক পরে বাড়িতে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমারে আর আগের মতো পাবা না। আমি এখন অন্য পথের মানুষ। সপ্তাহে দুই দিন এক হাজার টাকা করে কমিশন পাওয়া যাবে’।

এ অবস্থায় তিনি আঁতকে উঠে প্র’তিবাদ করলে ব্যাপক মা’রধর করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বুধবার সকালে ফের বাড়িতে আসেন শাড়ি পরে, কান ও নাক ফোড়া অবস্থায়। তখন পরিবারের লোকজন ক্ষি’প্ত হয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে দা নিয়ে আ’ক্রমণ শুরু করে।

কর্মক্ষম ও সুস্থসবল ব্যক্তিটি প্রলোভনে পড়ে এ রকম হওয়ায় পরিবারে হ’তাশা দেখা দিয়েছে। হিজড়া হওয়া জাকিরের ছোট ভাই বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন নেত্রকোনার হিজাড়া সর্দারনি সাগরিকা তার ভাইকে হিজড়া বানিয়েছে। এ ছাড়াও কেন্দুয়া ও স্থানীয় আটারোবাড়ি এলাকার অনেকে হিজড়া হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জ’ড়িত হিজড়াদের বি’চার চাই।

বিশেষ অ’ঙ্গ কে’টে হিজড়া হওয়া জাকিরের স্ত্রী বলেন, আমি ব্লাউজ-সায়া ও শাড়ি পরি, কানে নাকে অলঙ্কার দেই। আমার স্বামীও তাই করছে। এ কাণ্ড দেখে তো আ’ত্মহ’ত্যার ইচ্ছা হয়। শুধু সন্তানদের দিকে তাকিয়ে করতে পারছি না।

নান্দাইল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাফি জানান, এভাবে কোনো পুরুষকে নারীতে পরিণত করা যায় না। এতে র’ক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি তৃতীয় লি’ঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত হিজড়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি-ঘরে, হাটে-বাজারে ও বিভিন্ন পরিবহনে জো’রপূর্ব’ক অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে যুবক ছেলেদের হিজড়ায় পরিণত করারও চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।

সূত্র: কালের কন্ঠ

ad

পাঠকের মতামত