347344

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কিশোরীর অবস্থান

বিয়ের দা’বিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক পু’লিশ সদস্যের বাড়িতে দু’দিন ধ’রে কথিত প্রেমিকা অবস্থান করছে। ১৫ নভেম্বর রবিবার স্বেচ্ছায় বিয়ের দা’বিতে পু’লিশ কনস্টেবল আনন্দের বাসায় যায়। বিয়ে না করা পর্যন্ত ওই স্থানেই থাকবে বলে জানিয়েছে কিশোরী।

এলাকাবাসীরা জানান, উপজে’লার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়ের পাড় মৌজার অমল চন্দ্র রায়ের পুত্র পু’লিশ কনস্টেবল আনন্দের বাড়িতে বিয়ের দা’বিতে দু’দিন ধ’রে অ’বস্থান করছে। ওই কিশোরী হলো রংপুর সিটির ৩৩ নং ওয়ার্ডের শরেয়ারতল গ্রামের ঝন্টু রায়ের মেয়ে রুপালী রানী (১৫)।

মেয়েটির অবস্থানের সময় পু’লিশ কনস্টেবল আনন্দ তার কর্মস্থল লালমনিরহাটে কর্মরত আছেন। রুপালী অ’ভিযোগ করে বলেন, ৪ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পারিবারিকভাবে ৩ লাখ টাকা যৌতুকে বিয়ের আলোচনাও হয়। কিন্তু মাঝখানে কথা বলা-বলি ব’ন্ধ হয়ে যায়। খোঁ’জ নিয়ে জানতে পারি, আনন্দ অন্যত্র ১২ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের আলাপ চূড়ান্ত করেছে।

তাই আমি ১৫ নভেম্বর রবিবার স্বেচ্ছায় বি’য়ের দাবিতে আনন্দের বাসায় এসেছি। বিয়ে না করা পর্যন্ত এখানেই থাকবো। রুপালী আরো বলেন, আনন্দ এর আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার আত্মীয়র বাসায় নিয়ে গিয়ে ইচ্ছের বি’রুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে।

আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। আবার গত ২২ আগস্টও বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তালতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফের শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি আবারও বিয়ের কথা বললে নানা টালবাহানা করে।

এরপর থেকে আমার সঙ্গে দু’র্ব্যবহার শুরু করে। আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁ’চে থাকার অবলম্বন টুকু শে’ষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শে’ষ করে দিবো।

সোমবার এ ব্যাপারে আনন্দের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকের নাম শুনেই ফোন কে’টে দেন। এ বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলুর সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘ’টনার স’ত্যতা স্বী’কার করে বলেন, ‘আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে।’

রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা মো. রাজু সরকার ঘ’টনার স’ত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিয়ের আর্শীবাদ হয়ে আছে। এ মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁ’ছানোর জন্য আলোচনা চলছে।’

ad

পাঠকের মতামত