347293

ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইরানে হা’মলার পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প

আগামী জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার কথা রয়েছে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হা’মলা চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই রিপাবলিকান। গত সপ্তাহে ওভাল অফিসের এক বৈঠকে ইরানে আক্রমণ চালানোর সুযোগ আছে কিনা- সে ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও এ পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিসের ওই বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি উপস্থিত ছিলেন। তারা ইরানে হা’মলা বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। দেশটিতে আক্রমণের সুযোগ আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশ্য, হা’মলায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঝুঁকি বিবেচনায় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের পথ থেকে সরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ওভাল অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প ইরানে আক্রমণ চালানোর সুযোগ আছে কিনা জানতে চাওয়ার পর তাকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়। মাইক পেন্স, মাইক পম্পেও, ক্রিস্টোফার মিলার ও জেনারেল মার্ক মিলি আলোচনা-পরামর্শ করে ইরানে হাম’লার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

২০১৮ সালে ৪৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে হওয়া ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেন ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এবার ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র দুমাস আগে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করতে চাইছেন।

অন্যদিকে আসছে জানুয়ারিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে বেশ কিছু সেনা সরিয়ে নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তান থেকে ৫ হাজার ও ইরাক থেকে ৩ হাজারের মতো সেনা প্রত্যাহার করা হতে পারে। এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, আসছে বড়দিনের উৎসব পালন করতে তিনি ‘সব’ মার্কিন সেনাদের যার যার বাড়িতে চান! খবর বিবিসির।

দীর্ঘদিন আগেই অবশ্য সেনা প্রত্যাহার করে তাদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ছাড়া অন্য দেশে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপকে ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছিলেন। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মার্কিন সেনাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, সেনা প্রত্যাহারের এই বিষয়টি সপ্তাহের শেষে তাদের জানানো হবে। এর নির্বাহী আদেশ তৈরি করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারছেন না রিপালিক পার্টির সিনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল। তিনি ট্রাম্পের সমালোচনা করে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। ম্যাককনেল বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জঙ্গিরা ভালোবেসে গ্রহণ করবে।

ad

পাঠকের মতামত