347279

ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চতুর ট্রাম্পের ইউটার্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয় স্বীকার করে নিয়ে পরক্ষণেই সুর পাল্টালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার এক টুইটার বার্তায় জো বাইডেনের জয় স্বীকার করার পরক্ষণেই আরেক টুইটে পুরো ব্যাপারটিকে অস্বীকার করে বসেন চতুর ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় রোববার সকালে বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে এক টুইটে লেখেন– ভোট জালিয়াতির কারণে তিনি নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষণকারী কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে ভোট গণনায় যেতে দেয়া হয়নি। চরম বামপন্থী মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃত্ববাদী কায়দায় ভোট গণনার কাজ তদারকি করেছে।

এদের দুর্নাম রয়েছে, এসব কাজ করার জন্য তারা মোটেও উপযুক্ত নন। তারা টেক্সাসে কাজ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হননি (যেখানে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি), ভুয়া ও নীরব গণমাধ্যম এবং আরও অনেক কিছু এর সঙ্গে জড়িত ছিল! ট্রাম্পের এই টুইটের পর রয়টার্স, এনবিসি, সিএনএনসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এই টুইটে ‘পরাজয় স্বীকারের’ বার্তা রয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে।

কিন্তু এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ট্রাম্প ইউটার্ন নেন। আরেকটি টুইটে তিনি লেখেন– ‘তিনি (বাইডেন) শুধু ভুয়া সংবাদমাধ্যমের চোখে জিতেছেন। আমি কিছুই স্বীকার করিনি। আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি আছে। এটি ছিল একটি পাতানো নির্বাচন।’

ট্রাম্পের রোববারের টুইটগুলো নিয়ে পরে এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বাইডেন প্রশাসনের মনোনীত চিফ অব স্টাফ রন ক্লাইন বলেন, বাস্তবতাকে যদি ট্রাম্প মেনে নিতে পারেন সেটি খুবই ইতিবাচক। ট্রাম্পের এ টুইটে জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়া না হওয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমেরিকানরা তাকে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন।

২০ জানুয়ারি ২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অঙ্গরাজ্যগুলোর ফল সরকারিভাবে ঘোষিত হয়নি, বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোট গণনা এখনও চলছে। এই রাজ্যগুলোর ফল নির্ধারিত হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের বৈঠকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হবে।

বেসরকারি ফলে দেখা গেছে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট। পপুলার ভোটেও বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে বেশি পেয়েছেন। ৭ কোটি ৮৮ লাখ ভোট পেয়েছেন বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৭ কোটি ৩০ লাখ ভোট।

ট্রাম্প ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে মামলা করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রাজ্যে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। এখন যা অবস্থা তাতে আইনের মাধ্যমে ভোটের ফল পাল্টে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

ad

পাঠকের মতামত