347136

বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার কোনো সুযোগই নেই

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী আসর শুরুর পরই বাধাগ্রস্ত হয়। করোনায় স্থগিত হয়ে গেছে অনেকগুলো টেস্ট। প্রথম চক্রের ফাইনাল হওয়ার কথা আগামী বছর জুনে। তার আগে নির্ধারিত সব সিরিজ আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব।

এ অবস্থায় দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারণে একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে আইসিসি। সর্বোচ্চ পয়েন্টের পরিবর্তে দলগুলোর অর্জিত পয়েন্টের শতাংশের হিসাবে ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হবে। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি এই বিকল্পকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করছে। তবে তা চূড়ান্ত করা হবে এ সপ্তাহে আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায়।

শুরুতে আইসিসির বিবেচনায় ছিল আরেকটি বিকল্প। সেটি হল, করোনাকালে যেসব টেস্ট খেলা হয়নি, সেগুলোকে ড্র হিসেবে ধরে পয়েন্ট ভাগ করে দেয়া। কিন্তু ক্রিকেট কমিটি সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছে। নতুন নিয়মে যে দলগুলো ফাইনালের লক্ষ্যে খেলছে, তাদের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। আপাতত পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকা নিউজিল্যান্ডের যেমন ভালো সুযোগ আছে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নেয়ার।

সেটি সম্ভব হবে যদি তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের দুটি সিরিজ থেকে সর্বোচ্চ ২৪০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারে। সেক্ষেত্রে কিউইরা মোট ৬০০ পয়েন্টের জন্য খেলে অর্জন করতে পারবে ৪২০ পয়েন্ট। যার হার দাঁড়াবে ৭০ শতাংশ।

তবে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার কোনো সুযোগই নেই। কারণ, এখন পর্যন্ত ১৮০ পয়েন্টের জন্য খেলেও কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি টাইগাররা।

পয়েন্ট অর্জনের দিক থেকে ভারত এগিয়ে থাকলেও শতাংশের হিসাবে আপাতত শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তিন সিরিজে ৩৬০ পয়েন্টের মধ্যে তারা পেয়েছে ২৯৬ পয়েন্ট। অর্জিত পয়েন্টের হার সর্বোচ্চ ৮২.২২ শতাংশ। চার সিরিজে ৪৮০ পয়েন্টের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৩৬০ পয়েন্ট। যেখানে হার ৭৫ শতাংশ।

শতাংশের হিসাবে তিন ও চারে আছে ইংল্যান্ড (৬০.৮৩%) ও নিউজিল্যান্ড (৫০%)। ফাইনালের আগে সব দলেরই কয়েকটি সিরিজ রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে পয়েন্ট টেবিলে। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন দুটি দল ফাইনালে যেতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত