345443

৭শ’ কি.মি জ্যামে স্থবির ফ্রান্স

নজিরবিহীন যানজটের কবলে পড়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। এমন যানজট এর আগে ফ্রান্সে কেউ দেখেছে বলে মনে করতে পারছেন না দেশটির নাগরিকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে আলোচিত এই জ্যামের পরিধি ছিলো প্রায় ৭০০ কিলোমিটার।

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ফ্রান্সে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এবারের লকডাউন অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে কার্যকর করা হবে বলেও আগাম ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মূলত এই কারণেই ফ্রান্সের সড়কে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

রেকর্ড-ভাঙা ট্র্যাফিক জ্যামের কথা স্বীকার করেছে ফ্রান্সের ট্রাফিক দফতরও। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইলে-ডি-ফ্রান্স অঞ্চলে ৪৩০ মাইলের (৭০০ কিলোমিটার) বেশি প্রসারিত এই ট্রাফিক জ্যামের কথা তারা জানিয়েছে। শুধু প্যারিস নয়, লকডাউন কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে লিয়ন এবং বোর্দো শহরেও অসহনীয় যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ আবারো লকডাউনের নির্দেশ দেন। বুধবার ফ্রান্সে ৩৪ হাজার জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পরেই রাতে জরুরি বৈঠকে বসেন মাক্রো। আলোচনা শেষে জরুরি ভিত্তিতে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন। নতুন নিয়মের বিশদ জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, সকলে নিয়ম মেনে চলুন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, স্কুল, কাজ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্যও বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরলেই প্রশাসনকে তার কারণ জানাতে হবে। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রতিটি সীমানা সিল করে দেয়া হয়েছে। বার, রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘোরাঘুরি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্লাস যেন অনলাইনে করানো হয়।

অফিসের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়িতে বসেই অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে এক ঘণ্টার জন্য বাড়ির বাইরে এক্সারসাইজ করতে যাওয়া যাবে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে। তার পর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা।

ad

পাঠকের মতামত