345490

নাক দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে জীবিকা অর্জন!

শুধু মুখ দিয়েই নয় নাক দিয়েও বাঁশি বাজান বংশীবাদক ফেরিওয়ালা মাদারীপুরের রাজৈরের লাহা উদ্দিন। ৩০ বছর ধরে নাক দিয়ে বাজিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে তার বাঁশি বিক্রি করেন। অভাব-অনটনের কারণে এগুতে পারছেন না। তিনি চান সবার সহযোগিতা। বাঁশি তার সব। সংসার চলে বাঁশি বিক্রি করে। আয়ের পথকে এগিয়ে নিতে বাজান বাঁশি। তবে তার বাঁশি বাজানোর পদ্ধতি একটু ভিন্ন। মুখের মতো নাক দিয়েও সুর তুলেন বাঁশির।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের লাহা উদ্দিন। অভাবের সংসারে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ হয়েছে। বাবা মারা যাবার পরই বেছে নেন বাঁশি বিক্রির পেশা। দেশের বিভিন্ন জেলার হাটবাজার ও বাণিজ্যিক এলাকা ঘুরে ৩০ বছর ধরে বাঁশি বাজান আর বিক্রি করেন।

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নাক ও মুখ দিয়ে আলাদা আলাদা সুরে বাঁশি বাজান। ক্রেতারা জড়ো হলে বিক্রি করেন মোহন, আর, বিন, নাগিনী, খিলা নামের বাঁশি। লাহা উদ্দিন জানান, কুমিল্লা থেকে বাঁশি সংগ্রহ করে একশ থেকে দেড়শ’ টাকা করে প্রতিটি বাঁশি বিক্রি করেন। আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টি বাঁশি বিক্রি হলেও করোনাকালে বিক্রি নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৫টিতে।

আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি এই বংশীবাদককে একটি কর্মসংস্থান করে দেয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, আমাদের জেলা কর্মসংস্থানে দুস্থদের সহায়ের জন্য ব্যবস্থা আছে, সেটা আলাপ করে তাকে কিছু আর্থিক ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

লাহা উদ্দিন বাঁশি বিক্রির সময় সড়ক দু’র্ঘটনায় আ’ঘাত পান। এতে মেরুদন্ডের হাঁড়ের সমস্যায় ভুগছেন গত ৬ বছর ধরে।

ad

পাঠকের মতামত