345466

জরিপে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

৩ নভেম্বর ভোটের আগে প্রায় সব জরিপেরই ইঙ্গিত, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। জয়-পরাজয়ের হিসেব চূড়ান্ত করা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে, রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাইডেন। ৭৭ বছরের বাইডেন জিতলে, কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার রক্ষা আর অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের চেয়ে উদার হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথ ছিল উত্তাল। অধিকারহরণ, নানামুখী নির্যাতন আর কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনা বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তি ধসিয়েছে উন্নত এ দেশটির। তাই সাড়ে ১২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের পক্ষে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অভিবাসীবান্ধব মনোভাবের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়া ভোটারদেরও কাছে পাবেন বাইডেন। মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে ট্রাম্পের ব্যালটে ভোট দেবেন না মুসলিমরা, মনে করা হচ্ছে এমনটাও। এতে মুসলিমদের এক শতাংশ ভোট যেতে পারে ডেমোক্র্যাটদের ঘরে। তবে বাইডেনের মূল চ্যালেঞ্জ শেতাঙ্গদের ভোট। কারণ তাদের অধিকাংশই ট্রাম্পের পক্ষে যাবেন বলে জরিপগুলোতে উঠে এসেছে।

নিবন্ধিত ৬০ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ ভোটার বলছেন, তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। অপরদিকে বাইডেনের পক্ষে রয়েছেন ৩৮ শতাংশ। কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ৯১ শতাংশ বলছেন তারা বাইডেনকে ভোট দেবেন।

আর ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মাত্র ৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার। মার্কিন গণমাধ্যমের করা জরিপে বলা হচ্ছে, ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলো, অর্থাৎ সুইং স্টেটে মূল লড়াইটা দেখা যাবে।

ডেমোক্র্যাটরা জিতলে, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, স্বল্পমূল্যে শিক্ষা, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, সামাজিক কর্মসূচি, পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি প্রণোয়ন, সব জাতির মানুষ ও নারী-পুরুষে সাম্য-সমতা প্রতিষ্ঠা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, বর্হিবিশ্বে অর্থ দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রভাব রাখার মতো কাজ বাড়বে। তাই তো নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেনকে একাধিকবার পুঁজিবাদ বিরোধী বলেও আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। বাইডেন জিতলে যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে বলে উল্লেখ করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া বয়স বেশি বলেও বাইডেনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ বাইডেন, ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো সিনেটের নির্বাচিত হন। তিনি মার্কিন ইতিহাসে পঞ্চম কনিষ্ঠতম সিনেটর। ছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ad

পাঠকের মতামত