345356

লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন মা, চা বিক্রি করে বোনদের পড়াশোনার খরচ সামলাচ্ছে কিশোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের থা’বায় ব’দলে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। কেউ হা’রিয়েছেন চাকরি। আবার কেউ হা’রিয়েছেন প্রিয়জন। নিত্য নৈমিত্তিক কাজের চাপে প্রিয়জন হা’রানোর য’ন্ত্রণা না হয় একদিন ফিকে হয়। কিন্তু চাকরি হা’রানোর ফলে নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় সন্তানদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে না পারার কষ্ট কী সত্যিই সহ্য করতে পারেন কোনও মা?

সত্যি এর উত্তর বোধহয় এক কথায় পাওয়া বড় কঠিন। কিন্তু এই বিপদের দিনে যদি সেই মায়ের পাশে এসে দাঁড়ায় ছোট্ট সন্তান। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কঠিন পরি’স্থিতি কাটিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সে। তাতে বোধহয় কিছুটা হলেও লাঘব হয় য’ন্ত্র’ণা। কার কথা বলছি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে নেটদুনিয়ার ‘হিরো’ বছর চোদ্দোর সুভানের।

বাবা প্রায় এক যুগ আগে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। ছেড়ে চলে গিয়েছেন মুম্বাইয়ের ভেন্ডিবাজার এলাকার সুভানকে। তাই মা এবং ছোট্ট বোনেদের সঙ্গে বাস কিশোরের। একটি স্কুলবাসে পড়ুয়াদের দেখাশোনার কাজ করে যে পয়সা উপার্জন করেন তা দিয়েই সংসার সামলান কিশোরের মা। এতদিন সেভাবেই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়া, শখ, আহ্লাদ যাবতীয় পূরণ করেছেন তিনি।

তবে করোনা কাঁটায় দিনযাপনের রুটিনে ছেদ পড়ল। স্কুল বন্ধ হতে না হতেই চাকরি হারালেন সুভানের মা। সামান্য যা কিছু সঞ্চয় ছিল তা দিয়ে দিনকয়েক কেটেছে। কিন্তু বর্তমানে হাতে টাকাপয়সা নেই তার। তাই বাধ্য হয়ে সুভানই অর্থ উপার্জন করবে বলে স্থির করে। কিন্তু এইটুকু কিশোর কীভাবে টাকা উপার্জন করবে?

ভেন্ডিবাজার এলাকার একটি দোকানে চা তৈরি করায়। তারপর গোটা এলাকা ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করতে থাকে সে। সুভান জানায়, এভাবে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা উপার্জন করে সে। সামান্য কিছু টাকা নিজের কাছে রেখে বাকিটা তুলে দেয় মায়ের হাতে। সেই টাকা দিয়েই আপাতত দিন গুজরান করছেন সুভানের পরিজনেরা। তবে সকলের মুখে অন্ন জোগাতে গিয়ে নিজের পড়াশোনায় আপাতত ইতি টেনেছে সে। মা আবার কাজ শুরু করলে পড়াশোনা করবে বলেই সিদ্ধান্ত কিশোরের। সূত্র : এএনআই

ad

পাঠকের মতামত