345291

২ নভেম্বর থেকে জার্মানিতে লকডাউন

মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই ভয়াবহ রূপধারণ করেছে জার্মানিতে। এমতাবস্থায় ফেডারেল এবং সব রাজ্য সরকার নতুন সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার ৪ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল এবং রাজ্য সরকার প্রধানরা ২ নভেম্বর সোমবার থেকে দেশব্যাপী লকডাউনসহ বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

যার মধ্যে ২ নভেম্বর থেকে পুরা মাসব্যাপী রেস্তোরাঁ, বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। সে দিন থেকে শুধু দুই পরিবারের লোকদের বাইরে বাইরে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফিটনেস স্টুডিওস, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে মাসব্যাপী। বিনোদন কেন্দ্র এবং সব ইভেন্ট জার্মানিজুড়েই নিষিদ্ধ থাকছে নভেম্বর মাসে। তবে রেস্তোরাঁ, বার, থিয়েটার বন্ধ থাকলেও আপাতত খোলা থাকছে স্কুল।

বুধবার চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সংবাদ সমেলনে বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে কঠোর চেষ্টা করতে হবে, যেন যেকোনো উপায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা যায়। তিনি বলেন, নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রথমে স্থিতিশীল হতে হবে এবং তারপর আরও কমতে হবে। তবেই তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। এছাড়াও জনগণকে “অপ্রয়োজনীয়” ব্যক্তিগত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন চ্যান্সেলর মের্কেল।

এদিকে দেশটিতে প্রতিদিন রেকর্ডসংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) জার্মানিতে একদিনে ১৪ হাজার ৯৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন; যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিও কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৩ হাজার আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার ৩৬০ জন।

ad

পাঠকের মতামত