344871

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চূড়ান্ত হচ্ছে ২ দিন ছুটি

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির বিধান রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন খসড়া ছুটির তালিকা। আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য তা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত তালিকাটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

মন্ত্রিসভা এ তালিকা অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছুটির ভিত্তিতে অনুমোদিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী বছরের ক্লাস-ছুটি-পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চলতি নিয়মে কেবল শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি বিদ্যমান। তবে নতুন নিয়মে দুই দিন থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। এ ছুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কার্যকর হবে।

এর আগে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি কারিকুলামের খসড়া গত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারিকুলামের কাঠামোতে আমরা বলেছি, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকলে সমস্যা হবে না। নতুন এই কারিকুলাম চালু হবে ২০২২ সাল থেকে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

প্রস্তাবে বলা হয় ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনও ক্ষতি হবে না। সাপ্তাহিক এই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনও সময় এই ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

বিদ্যমান সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।

এনসিটিবির সূত্রে জানা গেছে, দুইদিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের বাসার যে কাজ দেওয়া হয়, তাতে তার লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল সপ্তাহে দুইদিন ছুটি চালু রেখেছে। এতে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমে যাবে।

ad

পাঠকের মতামত