344355

এক আইজি অপহ’রণে তোলপাড়, গৃহযু’দ্ধ পরিস্থিতি পাকিস্তানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ প্রধান ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)-কে কি অ’পহ’রণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবা’হি’নী? দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরীফের মেয়ে জামাই মুহম্মদ সফদরকে গ্রেফতারের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাকে অ’পহ’রণ করা হয়েছিল বলে জল্পনা চ’রমে উঠেছে। এমনকি সেনা ও পুলিশের মধ্যে বন্দুকযু’দ্ধের খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেনা প্রধান কামার বাজওয়া। তবে পাকিস্তানের পিটিআই নেতা ও মন্ত্রী আলী জাইদি এখবর অ’স্বী’কার করেছেন। এদিকে একাধিক মিডিয়া দাবি করছে, এ ঘ’টনার প্রতিবাদে গণছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন আইজি মুস্তাক মেহরসহ সিন্ধের পদস্থ পুলিশকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশা’সনের বি’রু’দ্ধে সিন্ধ প্রদেশে সম্প্রতি একটি মিছিল করে বিরো’ধীরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন নওয়াজ শরীফের জামাই সফদর।

সেখানে কার্যত সেনার বি’রু’দ্ধেও স্লো’গান দেওয়া হয়েছিল। সেই অ’ভিযো’গে ওই মিছিলের পরেই সফদরকে গ্রে’ফতার করা হয়। ওই দিনই অবশ্য আদালতে জামিনও পেয়ে যান সফদর। বলা হয়েছে, সফদরকে গ্রেফতার করতে রাজি ছিল না সিন্ধ পুলিশ। কিন্তু পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাকে গ্রেফতারের জন্য আইজির উপর চা’প সৃষ্টি করতে থাকে। গ্রেফ’তারির নির্দে’শে সই করার জন্য তার উপর নানাভাবে চা’প তৈরি করা হয়।

তারপরেও মেহর রাজি না হওয়ায় তাকে অ’পহ’রণ করে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ রাজি না হওয়ায় সফদরকেও রেঞ্জার্সই গ্রেফতার করে বলে পুলিশের একটি সূত্রে দাবি। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, সিন্ধের ঘ’টনার জেরে করাচিতে গৃহযু’দ্ধ শুরু হয়েছিল। সেনার সঙ্গে পুলিশের সং’ঘ’র্ষ বাধে। তাতে করাচিতে ১০ পুলিশকর্মীর মৃ’ত্যু হয়েছে বলেও খবর।

যদিও এ নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে এই ধ’রনের কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি। মুখ খোলেননি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কেউ। আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যমও অসমর্থিত সূত্রে খবর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া করাচি শহরের ছবি দেখে অনেকেই চমকেই উঠেছে। সং’ঘ’র্ষে পুলিশের মৃ’তদেহ থেকে শুরু করে সেনা কর্মকর্তার মৃ’তদেহের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরে পড়েছে।

একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইজি মেহর বলেন, তিনি নিজে এবং পদস্থ পুলিশকর্তারা গণছুটিতে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই সেনা প্রধান কামার বাজওয়া ঘ’টনার নি’রপেক্ষ তদ’ন্তের নির্দে’শ দেওয়ায় সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছেন। আপাতত ১০ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি অফিসারদের। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে তদ’ন্তের জন্য এই সময় দিতে চাই। তবে কে বা কারা তাকে অ’পহ’রণ করে রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।

ad

পাঠকের মতামত