344296

আ’ক্রমণের মুখে ট্যাংক-গো’লা রেখে পালাল আর্মেনীয় বাহিনী

বি’রোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে তুমুল যু’দ্ধ চলছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। কারাবাখের জাবরাইল প্রদেশে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর একের পর এক আ’ক্রমণের মুখে যু’দ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ৫৫৬ রেজিমেন্ট।

বুধবার আজেরি সংবাদমাধ্যম আজভিশন জানিয়েছে, যু’দ্ধরত অঞ্চলটিতে ব্যবহৃত বেশ কিছু ট্যাংক রেখে পালিয়ে যায় শত্রুপক্ষ। এছাড়া আরও কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র আ’ক্রমণের মুখে আর্মেনীয় বাহিনী সামরিক যানবহন, গো’লাবারুদ, রকেট লাঞ্চার, বিভিন্ন ধরনে অ’স্ত্র, গু’লিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি ফেলে যায়।

বুধবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, বেশ কিছু ট্যাংকের ধ্বং’সাবশেষ। রাতভর আজেরি বাহিনীর আ’ক্রমণের মুখে যু’দ্ধক্ষেত্রে এসব ট্যাংক রেখে পালিয়ে যায় আর্মেনীয় বাহিনী।

এদিকে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আঘদারা, ফুজুলি, জাবরাইল এবং গুবাদলি এলাকায় সম্মুখ যু’দ্ধ হয়। এসব এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষ’য়ক্ষ’তির মুখে পড়ে আর্মেনীয় বাহিনী। তাদের বেশ কিছু গো’লাবারুদ ও বাহিনীর সদস্যদের প্রা’ণহানি ঘটে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যু’দ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যু’দ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যু’দ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যু’দ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অ’ভিযুক্ত করে।

দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে যু’দ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষে’পণা’স্ত্র হা’মলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নি’হত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হা’মলায় আ’হত হয়েছেন ৫০ জন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে তুমুল ল’ড়াই শুরু হয়।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যু’দ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নি’হত হয়।

ad

পাঠকের মতামত