344065

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সোনাপুরে প্রায় ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীদের বসবাস

জীবিকার তাড়নায় বর্তমানে দেশ ছেড়ে অনেকেই ছুটে চলেন দেশের বাইরে ভাল আয়ের আশায়। তবে দেশের বাইরে আয় রোজগার অত সহজও নয়। অনেক কষ্ট করেই থকাতে হয় তাদের সেখানে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিখ্যাত লেবার ক্যাম্প ‘সোনাপুর’। দেশটির মরুভূমি থেকে শুরু করে আজকের ঐশ্বর্য গড়ে তোলার পেছনে মিশে আছে যাদের শ্রম ও ঘাম, তাদের আবাসস্থল এই সোনাপুরে। এখানে বসবাস করেন দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে যাদের অবদান অসামান্য।

আমিরাতের ব্যাপক পরিবর্তনের পেছনে প্রতিনিয়ত যে মানুষগুলো শ্রম-ঘামবিলীন করে তারাই সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বিশ্রাম করতে আসেন সোনাপুরে সরাসরিভাবে গড়ে ওঠা লেবার ক্যাম্পগুলোতে। এখানে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিকের আবাস হলেও দুই লাখের বেশি শ্রমিক বাংলাদেশি। ২০১২ সালে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ না হলে এ সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি ছাড়িয়ে যেত ধারণা প্রবাসীদের।প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ না থাকার কারণে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ফিলিপাইনদের সংখ্যা বেশি। ভিসা চালু থাকলে এখানে আমাদের প্রভাবটা বেশি থাকত।

এ অঞ্চলে প্রবাসীরা শুধু শ্রমিক হিসেবে আছে তা নয়। শ্রমিক ক্যাম্পগুলো ঘিরে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার প্রবাসী নানা ব্যবসায়ও জড়িয়ে আছে। এবার করোনাকালে শ্রমিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু প্রবাসী।

এক প্রবাসী জানান, করোনার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

২০১২ সালের পর শ্রমিক ভিসা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আসা বন্ধ হয়ে যায়। সোনাপুরে লেবার ক্যাম্পগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকের তুলনায় বাড়তে থাকে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালি শ্রমিকদের আধিপত্য।

আগামী বছর দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য মেলা এক্সপো ২০২১। এই মেলাকে সামনে রেখে প্রবাসীদের প্রত্যাশা সোনাপুরের এই ক্যাম্পগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোলাহল আবারও বেড়ে যেতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত