343847

পুরান ঢাকার মেয়ে মালয়েশিয়ায় সফল উদ্যোক্তা

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সানা বিনতে রহমান। তিনি বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা এখানেই। বিক্রমপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর সঙ্গে ২০০৫ সালে সানার বিয়ে হয়। এরপর তিনি প্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন মালয়েশিয়ায়।

সানা সেখানে ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি অব মালয়েশিয়া (ইউটিএম) থেকে ২০১১ সালে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের উপর তিন বছর মেয়াদী (বিএসসি) ডিপ্লোমা শেষ করেন। এরপর ২০১৪ সালে বোটানিক্যাল অর্গানিক স্কিন কেয়ার কনসালটেন্সির উপর দু’বছর মেয়াদী আরও একটি ডিপ্লোমা করেন।

সানা ১৪ বছর ধরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে থাকেন। স্বামী-সন্তান সামলিয়ে তিনি মালয়েশিয়াতেই ব্যবসা শুরু করেন এবং সাফল্যের দেখা পান।

সানা বিনতে রহমান এক বছর ধরে ভেষজ উপাদান দিয়ে নিজেই ত্বকের জন্য তৈরি করছেন স্কিনের জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট। তার তৈরিকৃত প্রোডাক্টগুলো- হারবাল উপটান, বডি স্ক্রাব, বডি মাস্ক, হেয়ার ওয়েল এবং ফেস প্যাক মাস্ক। যেগুলো তিনি মালয়েশিয়াতে তার ফেসবুক পেজ ‘সানা বিউটি’তে অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করেন।

সানা বলেন, ‘আমি নিজেই বিভিন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে এই স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলো তৈরি করে থাকি। এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমার তৈরি স্কিনের প্রোডাক্টগুলো ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার পাই। এছাড়াও আমি

আমার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনেককেই স্কিন অ্যাডভাইস দিয়ে থাকি। আমি চাই, আমার প্রোডাক্টগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে, আমি এখন সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

‘শখের বসে আমি প্রথমে এই ব্যবসাটা করি। চিন্তা করছি প্রবাসে ঘরে বসে সময়টা যাচ্ছে না। যেহেতু এই কাজটি জানি, তাই করোনাকালীন সময়ে ‘সানা বিউটি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলি।

প্রোডাক্টগুলোর গুণাগুণ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকি। অনেক প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমার তৈরি প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন’, বলেন সানা।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের অনুপ্রেরণায় আমার কাজে আরও উৎসাহ পেলাম। প্রতিটি মানুষ চায় ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, নিজের রূপ সৌন্দর্য ধরে রাখুক। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আরও সামনে

এগিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, প্রবাসে প্রতিটি নারী ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করুক। প্রবাসীরা ভালো থাকুক সব সময় এটাই প্রত্যাশা করি।’

লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু কলেজ।

ad

পাঠকের মতামত