343732

নিজের সন্তান বিক্রি করাই আলমডাঙ্গার এই মায়ের পেশা!

প্রতিনিয়ত কত রকমের ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের চারিপাশে তার সব আমারা জানতে না পারলেও কিছু কিছু ঘটনা আমাদের কাছে চলে আসে মিডিয়ার মাধ্যমে যা আসলেই অবাক করার মত।

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনে বসবাসকারী এক প্র;সূতি সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তান বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। ব্র্যা;কের স্থানীয় এক স্বা;স্থ্যসেবিকার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী গোয়ালবাড়ি গ্রামের এক দ;ম্পতির কাছে ওই ন;বজাত;ককে বিক্রি করা হয়।

স্বামী পুত্র সন্তান চায় না তাই সন্তান বিক্রি করেছে বলে প্রসূতি জানালেও ৩ বছর পূর্বে এই প্র;সূতি আরেকটি সন্তান বিক্রি করেছিলেন বলে এলাকাবাসী জানায়।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের ন;তিডাঙ্গা আ;বাসনের ৪ নম্বর শে;ডের ৫ ন;ম্বর কক্ষে ব;সবাস করেন খাইরুল ই;সলামের স্ত্রী মি;নারা খাতুন (৩২)। মিনারা খাতুন খাইরুল ইসলামের দ্বি;তীয় স্ত্রী।

খাইরুল ইসলাম একই গ্রামে প্রথম স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন। বুধবার ভোরে প্র;সববে;দনা উঠলে স্থানীয় ব্র্যাক সংস্থার সেবিকা হেনা খাতুন ও আবাসনের বাসিন্দা বারেক আলীর স্ত্রী আমেলা খাতুনের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভ;র্তি হন মিনারা।

সকাল ৮টার দিকে পু;ত্রসন্তা;ন প্র;সব করেন। সঙ্গে সঙ্গেই মিনারা খাতুন তার স;দ্যভূ;মিষ্ঠ পু;ত্রসন্তা;ন ব্র্যাকের সেবিকা হেনা খাতুনের হাতে তুলে দেন।মিনারা খাতুন বলেন, অ;ন্তঃস;ত্ত্বা হওয়ার কথা শুনে ৮ মাস আগে আমাকে রেখে আমার স্বা;মী চলে যায় প্রথম স্ত্রী;র নিকট। এখানে (আবাসনে) আর আসে না।

মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয়। কন্যাসন্তান হলেই আমার স্বামী আমাকে মেনে নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার ছেলে হওয়ায় আমি স;ন্তা;ন দিয়ে দিয়েছি। স;ন্তান এখন অ;সু;স্থ। সুস্থ্য হলে টাকা দেবে।

নবজাতকের বাবা খাইরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই সংসারে প্রথম স্ত্রীর ৩ ছে;লে। দ্বিতীয় স্ত্রীরও এক ছেলে আছে। আমি আর ছেলে সন্তান নিতে চাই না। তবে, আমার স;ন্তান;কে বি;ক্রি করা হয়েছে কি-না আমি জানি না।

আলমডাঙ্গা উপজেলা ব্র্যাক সংস্থার সেবিকা হেনা খাতুন বলেন, মোবাইল ফোনে আমাকে ডেকে নেওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ছেলে সন্তান হওয়ার পর মিনারা তার সন্তানকে অন্য কারো কাছে দিয়ে দিতে বলেন। পরে আমি পার্শ্ববর্তী গোয়ালবাড়ি গ্রামের মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নিঃ;সন্তান বু;লবুলি খাতুনের কাছে ওই স;ন্তান দিয়েছি।

একই আবাসনে বসবাসকারী কাশেম আলী বলেন, মিনারা খাতুন বছর চারেক আগে তার প্রথম সন্তান ৪০ হা;জার টাকার বিনিময়ে কুষ্টিয়া এলাকায় বিক্রি করে।আবাসন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদার খাঁ অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বছর আগেও ছে;লেসন্তা;ন প্রসব করেন খাইরুল ইসলামের স্ত্রী মিনারা খাতুন।

সেই সন্তানও মিনারা খাতুন বিক্রি করেছিল ৪০ হাজার টাকায়। সন্তান বিক্রিটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। মিনারার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ad

পাঠকের মতামত