343427

সিসিটিভি ফুটেজে বেরিয়ে এলো আসল সত্য! (ভিডিও)

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতেই পুলিশের নি’র্মমতার শি’কার হন রায়হান আহমদ। রায়হান নিহ’তের পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের এই অ’ভিযোগ ছিলো। নি’র্যাতন সইতে না পেরে রোববার সকালে তিনি ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। নি’র্যাতনের সময় আ’র্তনাদ করে পুলিশকে না মা’রার এবং বাঁ’চার আকুতি জানিয়েছিলেন রায়হান। কিন্তু মধ্যযুগীয় কা’য়দায় বর্ব’র নি’র্যাতনকারী হৃদয়ের পুলিশ সদস্যদের মন গলেনি সে সময়।

পরিবারের সেই গু’রুতর অ’ভিযোগটি সত্য বলে প্রকাশ পাচ্ছে ধীরে ধীরে। যদিও শুরু থেকেই মূল অ’ভিযুক্ত- সদ্য বরখাস্তকৃত বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই আকবর দাবি করে আসছেন, রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে আনাই হয়নি। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ এবং তদন্ত কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী- আকবর মিথ্যা বলেছেন।

গত রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে ওসমানী হাসপাতালে মা’রা যান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃ’ত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদ। সেদিন সিলেট বন্দর ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিন’তাইয়ের অ’ভিযোগে এলাকাবাসী রায়হানকে গ’ণপি’টুনি দিলে গুরু’তর আ’হন হন তিনি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

কিন্তু এই মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটি জানাচ্ছে, এলাকাবাসীর গ’ণপি’টুনি নয়, পুলিশের হেফাজতে অবর্ণনীয় নি’র্যাতনের শি’কার হয়ে গু’রুতর ‘আহত হন রায়হান। এরপর তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোববার রায়হানের মৃত্যুর ঘ’টনা তদন্তে এসএমপির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির একটি সূত্র জানায়, বন্দরবাজার ফাঁড়ির পাশঘেঁষা সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা সেই সত্যতাই দিচ্ছে। ক্যামেরায় রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে আনা-নেয়ার ছবি ধরা পড়েছে ।

ওই ফুটেজে দেখা গেছে, গত শনিবার রাত ৩টা ৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে দুটি অটোরিকশা এসে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে থামে। সামনের অটোরিকশা থেকে তিন পুলিশের সঙ্গে রায়হানকে নামতে দেখা যায়। তিনি হেঁটে ফাঁড়িতে ঢোকেন। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ৬টা ২২ মিনিটে একটি অটোরিকশা আসে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে। এর ঠিক দুই মিনিট পর ৬টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে দুই পুলিশের কাঁধে ভর করে রায়হানকে অটোরিকশায় তুলতে দেখা যায়। এরপর তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

এদিকে ফুটেজ ছাড়াও এ নির্যাতনের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ আকবর হোসেনের নেতৃত্বে এ নি’র্যাতন চালানো হয়। ইনচার্জসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে।

এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করলেও পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা তাদের হেফাজতেই আছেন। এর আগে গত সোমবার বিকেলে আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত