343446

আরও ৮ গ্রাম দ’খলমুক্ত করে পতাকা উড়াল আজারবাইজান

আর্মেনিয়ার দখ’ল থেকে আরও ৮ গ্রাম মুক্ত করে পতাকা উড়িয়েছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। বুধবার আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এক ঘোষণায় এ কথা জানান।

এক টুইট বার্তায় আজেরি প্রেসিডেন্ট বলেন, আজারবাইজানের গর্বিত সেনাবাহিনী ফুজুলি জেলার গারাকলু, গারাদাগলি, খাতুনবুলাগ গ্রাম এবং খাজাভেন্দ জেলার তাগাসের, বুলুতান, মেলিকজানলি, কেমারতুক ও টেকে গ্রাম মুক্ত করেছে। দীর্ঘজীবী হউক আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। কারাবাখ আজারবাইজানের।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী অ’ভিযান পরিচালনা করে দখলকৃত সেবরাইল, হাদরুতসহ ৩০টির বেশি গ্রাম মুক্ত করেছে।

আজারবাইজানের প্রসিকিউটর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টম্বর থেকে যু’দ্ধে আর্মেনিয়ার হা’মলায় ৪২ জন বেসামরিক লোক নি’হত আর ২০৬ জন আ’হত হয়েছেন।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যু’দ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যু’দ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যু’দ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যু’দ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃ’তদে’হ হ’স্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যু’দ্ধবি’রতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যু’দ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যু’দ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অ’ভিযুক্ত করে।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যু’দ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নি’হত হয়।

ad

পাঠকের মতামত