341130

গ’ণধ’র্ষণ যারা ঘটিয়েছে তারা ছাত্রলীগের নেতা না: জয়

সিলেটের এমসি কলেজে বরাবরই লাগামহীন ছাত্রলীগ। ৯ বছর ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে মরিয়া দুটি গ্রুপ। ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি চাঁ’দাবা’জি, নি’র্যাতন ও খু’নে জ’ড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় অপ’রাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অপ’রাধে জ’ড়িত সংগঠনের কেউই ছাড় পাবে না।

২০১২ সালের আগস্টে, ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সং’ঘর্ষের জে’র ধ’রে, পু’ড়িয়ে দেয়া হয় সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়, দুঃখ ও আক্ষেপ উঠে আসে খোদ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর চোখেমুখে।

দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে বাতিল হয় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। মা’মলায় আ’সামি করা হয় ২৯ জনকে। এরপর নতুন ভবনে পথচলা শুরু হয় ছাত্রাবাসটির। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি বি’চার। এরপর নানা সময় উ’ত্তপ্ত থেকেছে সিলেটের প্রাচীন এই কলেজ ক্যাম্পাস। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের গ্রু’পিংয়ে সং’ঘর্ষ, ধা’ওয়া পা’ল্টা ধাও’য়ার ঘট’নাও ঘটেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁ’দাবা’জি, খু’ন, গু’ম করে সব সময় আলোচনায়। অ’পরাধের সবশেষ তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বামীকে আ’টকে রেখে গৃহবধূকে গ’ণধ’র্ষণ।

সমালোচনার মুখে থাকা সিলেট ছাত্রলীগের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অ’পরাধী’দের নামধারী কর্মী বলে দায় এড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশ্য বছরের পর বছর পার হলেও কমিটি গঠনের ব্যর্থতা ঘাড়ে নিয়েছেন তারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, অ’পরাধী’দের আমরা কখনই প্রশয় দেই না। অ’পরাধী সে যেই হোক, তাকে শা’স্তি পেতে হবে। সিলেটের এমসি কলেজে কোনো কমিটি নেই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো নেতা না। ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি। সময় টিভি

ad

পাঠকের মতামত