340756

সেই পাপিয়া দম্পতির যা’বজ্জী’বন চায় রাষ্ট্রপক্ষ

যুব মহিলা লীগ নরসিংদী জেলার বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন ওরফে মতি সুমনের সর্বোচ্চ যা’বজ্জীবন কা’রাদ’ণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের বি’রু’দ্ধে অ’স্ত্র আ’ইনে দায়ের করা মা’মলার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বি’চারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তিতর্কে এ আর্জি জানানো হয়।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আ’সামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন। আ’সামিপক্ষে সুমনের পক্ষে আইনজীবী এএফএম গোলাম ফাত্তাহ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর পাপিয়ার পক্ষে সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। যুক্তিতর্ক শেষে মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর আ’সামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আ’সামিদের আ’ত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। ওইদিন তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। পরে আদালত এ মা’মলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মা’মলার অ’ভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বি’চার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মা’মলার সাক্ষ্য শেষ হয়।

গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বি’রু’দ্ধে এ মা’মলায় মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএস) আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মা’মলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউক গ্রে’প্তার করে। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রে’প্তার করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

পরে ২৩ ফেব্রুয়া‌রি তাদের বি’রু’দ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শেরে বাংলানগর থানায় অ’স্ত্র ও ‌বি‌শেষ ক্ষ’মতা আ’ইনের ২ টি মা’মলা হয়। ৩টি মা’মলায় এই দম্পত্তিকে কয়েক দফায় রি’মান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ‌য়।

যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া ‘পিউ’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। এ নেত্রীর প্র’কাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অ’বৈধ অ’স্ত্র ও মা’দকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের। তার সাথে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগাযোগ ছিলো বলে জানা গেছে।

ad

পাঠকের মতামত