340190

মনের দুঃখ শেয়ার করলেন মোহাম্মদ আশরাফুল

বাংলাদেশ দলের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সব ধরণের আসরে। যেখানে প্রমাণও করেছেন নিজেকে। টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন ঘরোয়া ক্রিকেটে। শাস্তি ভোগ শেষে আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন এই ক্রিকেটার। এ জন্য শ্রীলঙ্কা সিরিজকে লক্ষ্য রেখে মানসিক প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন তিনি।

কিন্তু সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল। আশার ফুল ফুটল না আশরাফুলের। এমনকি অনুশীলন বা প্রাথমিক স্কোয়াডেও ডাক পাননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সুরে তিনি জানালেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাকে বিবেচনা করা যেত কিন্তু দেশের ‘ক্রিকেট সংস্কৃতির কারণেই’ তা হয়নি। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার ভক্তদের সঙ্গে লাইভ প্রশ্নোত্তর পর্বে শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে এভাবে আক্ষেপ ঝরে আশরাফুলের কণ্ঠে।

তিনি বলেন, আমাদের এই কালচারটা হয়নি যে, ৩৬ বছরের কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে চিন্তা করবে। অন্য দেশ হলে শ্রীলঙ্কা সিরিজেই হয়তো আমাকে চিন্তা করত। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমার পাঁচটা সেঞ্চুরি আছে। আর করোনার কারণে এই ৬-৭ মাস ক্রিকেট খেলা হয়নি। সবাই তো শূন্য থেকেই শুরু করেছে।

টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান বোঝাতে চাইছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতীত রেকর্ড তার কথাই বলছে। আর রানিং পারফরম্যান্সের বিষয়টিও নেই এখানে। এই সিরিজে তাকে নেয়া যেতেই পারে।

এরপর আশরাফুল বলেন, আমাকে হয়তো বা ঘরোয়া ক্রিকেটে এক্সট্রা-অর্ডিনারি পারফরম্যান্স করেই আসতে হবে। সেটির জন্য আমি তৈরি আছি। সবাই দোয়া করবেন যেন আমি সেই জায়গায় সুযোগ পাই। ওই জায়গায় সুযোগ না পেলে আবার কঠিন। সাত বছর জাতীয় দলের বাইরে আমি। তারপরও যেভাবে দেশে এবং দেশের বাইরের মানুষেরা আমাকে এখনও সাপোর্ট করে যাচ্ছেন, আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আর সে কারণেই এখনও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এর আগেও মোহাম্মদ আশরাফুল বলেছিলেন, কামব্যাক করার জন্যই তো এত চেষ্টা করা। আমি বিশ্বাস করি বয়সটা একটা নাম্বার। অনেক খেলোয়াড়ই ৪৩ বছর বয়সেও ক্রিকেট খেলেছেন। যেহেতু শ্রীলঙ্কা সিরিজ আমাদের সামনে, সেহেতু শ্রীলঙ্কার সাথে আমার পাস্ট রেকর্ডের কথাটা চিন্তা করে আমাকে ক্যাম্পে রাখতে পারেন।

 

ad

পাঠকের মতামত