340154

লাদাখের অধিকাংশ জায়গা চীনের দখলে, টহল দিতে পারছে না ভারত

লাদাখ সীমান্তে আবারও পাল্টাপাল্টি সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত ও চীন। ভারতের দাবি, ক্যাম্প স্থাপন করে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। ভারতও ভারী অ’স্ত্রের মজুদ করে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া প্যাঙ্গং লেক এলাকায় দুই দেশের সেনারাই এখন মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। যদিও সীমান্তের অনেকখানিক জায়গা বেইজিংয়ের দখলে থাকায় নয়াদিল্লি টহল দিতে পারছে না। যা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে মোদি সরকার।

লাদাখে শীত নামতে শুরু করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাবে। এর মধ্যেই থেমে নেই ভারত ও চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর কাজ। সম্প্রতি রাশিয়ার মস্কোয় পাঁচ দফা সমঝোতা করেও দু’পক্ষ শান্তি ফেরাতে পারেনি। উল্টো পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও জটিল হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, গেলো মে মাসে চীনের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কিছু অংশ অতিক্রম করে ঘাঁটি গেড়ে বসে। ভারতের আবেদন সত্ত্বেও তারা ফিরে যায়নি। উল্টো ভারতীয় ডেপস্যাং, উত্তর গালওয়ান, গোগরা ও প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে ভারতীয় সেনাকে টহল দিতে বাধা দিচ্ছে চীনা সেনারা। আর প্যাঙ্গং লাগোয়া পাহাড়ি এলাকায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে দু’দেশের সেনাবাহিনী।

এ অবস্থায় ভারত ভারী অস্ত্রসহ আর্টিলারি সীমান্তে জড়ো করছে। যা অনেক দূর পর্যন্ত নিশানা করে হামলা চালাতে সক্ষম। শীতের প্রস্তুতি নিয়ে ভারতও সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। লাদাখে টহল ও রসদ পরিবহনে দুই কুঁজওয়ালা উট ব্যবহার করবে নয়াদিল্লি।

চীনও আরও সেনা মোতায়েন করে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। চীনা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

দু’দেশের তীব্র উ’ত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দুই দেশের মধ্যকার বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ককে জোরদার করতে করণীয় নিয়ে আলাপ করা হয়।

এদিকে চীনের সঙ্গে বৈঠকের পরও কেন লাদাখ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো না তা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

ad

পাঠকের মতামত