339929

বাংলাদেশে ঢোকার পথে আটকে গেল ভারতীয় পেঁয়াজ

ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি সর্তসাপেক্ষে তুলে নিলেও ভারতের হিলি কাস্টমসে নোটিভিকেশন অর্ডার না আসায় টেন্ডার করা পেঁয়াজগুলো রফতানি করেনি ভারত কাস্টমস।

গত সোমবার ভারত সরকার কোন রকম নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের।

তবে ভারতের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে টেন্ডার করা পেঁয়াজগুলো বাংলাদেশে রফতানির জন্য আবেদন করলে মৌখিকভাবে অনুমোদন দিলেও লিখিত কোন অনুমোদন না আসায় বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ আসতে পারে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রতি বছর আমরা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করে থাকি। এই সব পেঁয়াজগুলো নাসিক, ব্যাঙ্গালুরুসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই পেঁয়াজগুলো হিলি বন্দরে আসতে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগে। কিন্তু আমাদের আমদানিকারকদের ভারতে লোডিং অবস্থায় ২ শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে আছে। এমনকি একইসঙ্গে দশ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি দেওয়া ছিল, যার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে তারা।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা পেঁয়াজগুলো রফতানি হতে পারে বলে জানিয়েছিল। সেই মোতাবেক আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু তারা পেঁয়াজ রফতানি করেনি। এ বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার সেই অনুমতি পত্র বা নোটিফিকেশন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ভারত ছাড়া অন্য দেশ যেমন, পাকিস্তান, তুরস্ক, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজের এলসি করেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেইসব পেঁয়াজ আসতে পারে। তখন আবার বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।

ad

পাঠকের মতামত