339793

বিবাহবার্ষিকীর দিন মা’রা গেলেন মিম

জেলা প্রতিনিধিঃ ১৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন স্বামী-শাশুড়ির নি’র্যাতনে আ’হত গৃহবধূ তাসমিম মিম। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নি’হত তাসমিম মিম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাটের মহিবুল আলমের মেয়ে ও দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার এজাজ আহমেদ বাপ্পীর স্ত্রী। অভিযুক্ত বাপ্পী দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার জিন্না মোল্লার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে প্রেমিক এজাজ আহমেদ বাপ্পীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তাসমিম মিম। আজ ছিল তাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। বিবাহবার্ষিকীর দিনই না ফেরার দেশে চলে গেলেন মিম।

জানা গেছে, বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে মিমের বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই স্বামী বাপ্পী ও শাশুড়ি কোহিনুর যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবি করেন। তাদের দাবি পূরণ করায় এ নিয়ে মিমকে প্রায়ই নানা ধরনের কটূ কথা শুনতে হতো। একপর্যায়ে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও শাশুড়ির নি’র্যাতনে গু’রুতর আ’হত হন মিম। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শা’রীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন মিম।

এদিকে মিমকে নি’র্যাতনের ঘটনায় কয়েক দিন আগে দৌলতপুর থানায় মিমের বাবা মহিবুল আলমের পক্ষে অভিযোগ দিতে যান মিমের খালাতো ভাই। থানার ওসি অভিযোগটি না নিয়ে তাকে ফেরত দেন।

এ বিষয়ে মিমের বাবা মহিবুল আলম বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেননি ওসি নিশিকান্ত সরকার। পরে আমাদের পরিচিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ফোন করলে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে মিমের স্বামী অভিযুক্ত এজাজ আহমেদ বাপ্পীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতকালই এই থানায় যোগদান করেছি। মিমের পরিবারকে আবারও অভিযোগ দিতে বলেছি। মিমের পরিবার অবশ্যই ন্যা’য়বিচার পাবে।’

 

ad

পাঠকের মতামত