339655

ওসি প্রদীপের ডান হাত কনস্টেবল রুবেল আ’টক

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হ’ত্যার মা’মলার প্রধান আ’সামি কক্সকাজার থানার সাবেক ওসি প্রদীপের ডান হাত কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে আ’টক করেছে র‌্যাপিড অ্যা’কশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে আ’টক করার কথা জানায় র‌্যাব কর্তৃপক্ষ।

রুবেল টেকনাফ থানার পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বলেন, আলোচিত মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আ’সামিরা রি’মান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মার বলেছেন। এ কারণে রোববার রাতে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেজর সিনহা হত্যা মা’মলায় জড়িত থাকা সন্দেহে গ্রে’ফতার দেখানো হয়।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে এখনো রি’মান্ড চাওয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে পরবর্তীতে তাকে রি’মান্ড নেয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দুকযুদ্ধে আবদুল আমিন ও মফিদ আলম নি’হতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হ’ত্যা উল্লেখ করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বি’রুদ্ধে পৃথক দুটি মা’মলা হয়। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে এ মা’মলা দুটি করা হয়।

আদালত মা’মলা আমলে নিয়ে এ সংক্রান্ত টেকনাফ থানার মা’মলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ।

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সিনহা নিহ’তের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধের নামে হ’ত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নি’র্যাতনের দায়ে ১৩টি মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হ’ত্যা মা’মলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আ’সামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেছেন মা’মলার বাদী সিনহা বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। ওইদিন কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারকি আদালত (সদর-৪) তামান্না ফারাহর আদালতে এ আবেদনটি করা হয়। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করলেও এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ দেননি।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গু’লিতে নি’হত হন অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বি’রুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মা’মলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মা’মলাটি র‌্যাবকে তদন্তভার দেয়া হয়। ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের ৭ সদস্য। গত এক মাসে র‌্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মা’মলার ৩ সাক্ষীকে আ’টক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রি’মান্ডে নিয়েছে। ১২ জন আ’সামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরমধ্যেই আদালতে নতুন আবেদনটি করল মা’মলার বাদী।

ad

পাঠকের মতামত