334639

দরজায় ছেলের তালা, ৪ দিন ধরে বাইরে ‘মা’

নিউজ ডেস্ক।। জমি লিখে না দেওয়ায় এক মাকে বসতঘর থেকে বের করে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল গ্রামে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মধ্যস্ততায় টানা চার দিন পর শনিবার দুপুরে ঘরের চাবি বুঝে পেয়েছেন ওই মা।

জানা গেছে, উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জ’ঙ্গল গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ সেন একজন ভুসম্পত্তির মালিক। তার এক ছেলে সুমন সেন। আর ২ মেয়ে। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। তিনি মৃ’ত্যুর আগে স্ত্রী নয়ন তারা সেনের নামে ৩ পাখি জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে যান। কিন্তু ছেলে সুমন সেন তার পছন্দ মত মেয়েকে বিয়ে করায় তাকে মৃ’ত্যু’র আগ পর্যন্ত মেনে নিতে পারেননি ভবেন্দ্রনাথ সেন। সুমন সেন জেলার পাংশায় একটি ঔষধ কম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি সেখানেই বসবাস করেন। মায়ের নামে থাকা জমি লিখে দেওয়ার জন্য গত সোমবার মাকে বাইরে রেখে ঘরে তালা দিয়ে চলে গেছেন তিনি।

নয়ন তারা সেন জানান, আমার স্বামীর এখনো কোটি টাকার ওপড়ে সম্পত্তি রয়েছে। একমাত্র ছেলে ঔষধ কম্পানিতে চাকরি করায় স্ত্রীকে নিয়ে পাংশায় থাকে। স্বামীর মৃ’ত্যুর পর সব জমাজমি বাৎসরিক বন্ধক দিয়ে অর্থ নিয়ে গেলেও আমাকে খাবার খরচও দেয় না। উল্টো আমার নামের জমি তাকে লিখে দেওয়াসহ আমার ২ মেয়ের সাথে আমি যাতে যোগাযোগ না রাখি তার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমাকে পাংশায় বাসায় নিয়ে যেতে চাইলে আমি দুই দিন পর যেতে চাই। গত সোমবার আমাকে ও মালামাল বাইরে রেখে ঘরে তালা মে’রে চলে গেছে। বিষয়টি জ’ঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। উপায়ন্ত না পেয়ে আমি বিভিন্ন বাড়িতে রাত কাটাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমন সেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মাকে আমি তালা দিবো না, বাইরে রাখবো, এটা আমার ব্যাপার। আপনাদের ব্যাপার না। আমি তাকে পাংশা আসতে বলেছি, তিনি না আসলে কি করবো।

জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, তিনি সুমনকে তার মায়ের সাথে ভালো আচরণ করা এবং ঘরের চাবি ফিরিয়ে দিতে বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। যে কারণে তিনি সুমনকে দ্রুততার সাথে তার মায়ের ঘরের চাবি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। যে কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় সুমন চাবি ফেরত পাঠায় এবং তার মায়ের হাতে দুপুরেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুমনের মা নয়ন তারা নিজ বসত ঘরেই অবস্থান করছেন।

ad

পাঠকের মতামত