331249

‘ফাইভ’ পাস মাছ ব্যবসায়ীর নিজের ক্লিনিক, করেন অপারেশনও!

নিউজ ডেস্ক।। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন অনেক কষ্টে। ভর্তি হওয়া হয়নি মাধ্যমিকে। মাছের ব্যবসা আছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরে। নিজ মালিকানাধীন একটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারও রয়েছে তার।

এ পর্যন্ত সব কিছুই ঠিক ছিল। তবে পিলে চমকানোর মতো বিষয় হলো চিকিৎসক পরিচয়ে ওই ক্লিনিকে নিজেই প্রসূতি মায়েদের সিজার অপারেশন করতেন মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল (৩৬)।

গো’পন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার মোস্তাফা কামালের মালিকানাধীন মহিমা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব-৮। এরপর অ’ভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই ক্লিনিক মালিককে চিকিৎসক সেজে মানুষের সঙ্গে প্র’তারণার অ’পরাধে ৩ মাসের কা’রাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জ’রিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আ’দালত।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ওই ক্লিনিকের মালিক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্র’তারণা করে আসছেন। এমনকি তিনি নিজে প্রসূতি মায়ের সিজার অপারেশন করতেন। এ ছাড়া ভু’য়া চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হতো ক্লিনিকটি।’

পীযুষ কুমার চৌধুরী আরও বলেন, ‘ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারটি নামমাত্র। সেটি বসবাসের জায়গা হিসেবে ব্যবহার হতো। অ’ভিযান চালিয়ে সেখানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া গেছে।’

এদিকে মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্য দেন অপর ভুয়া চিকিৎসক আমির হোসেন ভূইয়া। কামালের আগে তাকে আ’টক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। তার দেওয়া তথ্য মতে, মহিমা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অ’ভিযান চালায় র‌্যাব।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী জানান, স্থানীয়দের অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফা বন্দরে হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অ’ভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ভু’য়া চিকিৎসক আমিন হোসেন ভূইয়াকে আ’টক করা হয়। ভু’য়া স’নদপত্র দেখিয়ে ওই হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি নিয়েছিল নোয়াখালী জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে আমির হোসেন।

তিনি আরও জানান, এএইচ ভূইয়া (সুজন) নাম ধারণ করে আমিন হোসেন ভূইয়া গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে রোগী দেখার পাশাপাশি সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ‘অন কল’ চিকিৎসক হিসেবে অপারেশন করতেন তিনি। এই ভুয়া চিকিৎসককে আ’টকের পর তার দেওয়া তথ্য মতে মহিমা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অ’ভিযান চালিয়ে মোস্তফা কামালকে আ’টক করা হয়।

এদিকে অ’পরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আমির হোসেনকে ৬ মাসের কা’রাদণ্ড ও হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিককে ১০ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত