331239

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে, নির্ঘুম রাত কাটছে তীরবর্তী মানুষদের

নিউজ ডেস্ক।। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে যাচ্ছে ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি। মহাসংকটের শ’ঙ্কায় চিন্তিত লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের মানুষ।

পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাতীবান্ধা-বড়খাতার তালেব মোড়ের বাইপাস সড়কটি ওপর দিয়ে পানি চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে বাইপাস সড়কটি ভে’ঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয়দের অ’ভিযোগ, বিকেলে অব্যাহত পানি বৃদ্ধি হলেও নামমাত্র কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে প্রতিবারের মতো এবারও পানি উন্নয়নের পক্ষ থেকে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। তবে তা খুব একটা কাজে আসছে না।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথা গোঁজার আশ্রয় হারিয়ে উঁচু বাঁধে মানবেতর দিন কাটছে হাজারো মানুষের। বিকেলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তা পাড়ের মানুষরা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৫ হাজার পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ক্রমে কমে গিয়ে বন্যার উন্নতি ঘটে। এ নিয়ে চতুর্থবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি হয়ে বের নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বিকেল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। জেল পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মনে হচ্ছে না কখন পানি কমে যাবে। তবে তিস্তা তীরবর্তী মানুষদের স’তর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : হ্যাপি

ad

পাঠকের মতামত