330765

কাবা শরিফের খতিব শায়খ বালিলাহ অলসতা ছাড়তে যা বললেন

ধর্মবার্তা।। কোনো কাজে অলসতা করলে আল্লাহ তাআলা মানুষের উপর অভাব ও ব্যস্ততা চাপিয়ে দেন। আর অলসতা থেকে মুক্ত থাকতে করআন-সুন্নায় অনেক সতর্ক করা হয়েছে। এবার অলসতাকে অন্তরের রোগ বললেন কাবা শরিফে জনপ্রিয় খতিব শায়খ বালিলাহ। তিনি মানুষকে অন্তরের অসলতা থেকে বিরত থাকার উপায়ও বলেছেন।

কাবা শরিফের জুমআর খুতবায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অলসতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এ নসিহত পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা অন্তর সৃষ্টি করেছেন। যেন অন্তর আল্লাহকে চিনে নেয়। তাঁর প্রতি আনুগত্য করে। তার সাথে সম্পর্ক গড়ে। কোনো প্রতিবন্ধকতা অন্তরকে জিকির থেকে আড়াল করবে না। আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা গবেষণা থেকে বিরত রেখে কোনো অন্তরকে অন্য কিছুতে মশগুল রাখবে না।

তিনি বলেন, মানুষের অন্তরে কখনও কখনও বিভিন্ন রোগ ও নানান রকম বাঁধা প্রকাশ পায়। যার ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে নিবৃত রাখে। এ নিবৃত রাখার অন্যতম ক্ষতির কারণ হলো মানুষের গাফলতি তথা অলসতা। অলসতা ও উদাসিনতার মারাত্মক ক্ষতিতে আক্রান্ত হয় মানুষ।

অলসতা নামক রোগ যখন মানুষের উপর চেপে বসে তার অন্তর ঘুমিয়ে রাখে। আল্লাহর জিকির থেকে বিরত রাখে। উপদেশ থেকে বিমুখ করে রাখে। এভাবে মানুষ দনিয়ার জীবনের প্রতি ধাবিত হয়। নিজের কাছে অনুভব ও অনুধাবন শক্তি হারিয়ে ফেলে।

শুধু তা-ই নয়, এ গাফিলতির কারণে দুনিয়া ও শরিয়ত সংশ্লিষ্ট আয়াতসমূহ চিন্তা গবেষণা করা থেকে বিরত থাকে মানুষ। অন্তর অনুভূতিশূন্য ও ঘুমন্ত অবস্থায় চলে যায়। সত্যায়ন ও ইমান আনয়নের কোন প্রেরণা অন্তরে জাগ্রত হয় না। ভয় -ডর, কাকুতি মিনতি কোনো কিছুর দিকেই অন্তর ধাবিত হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তাদের রবের নিদর্শনাবলির থেকে যে নিদর্শনই তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছে তারা তা থেকে বিমুখ থেকেছে। (সুরা আনআম)

গাফলতির আরেক প্রকার হলো আখেরাতের ব্যাপারে উদাসীনতা। আখেরাতে সফল হতে যে চূড়ান্ত চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও ত্যাগ-তিতিক্ষার দরকার তা থেকেও বিমুখ থাকে মানুষ। আল্লাহ বলেন-
‘কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাহ্যিকতা সম্পর্কে জ্ঞাত আর আখেরাতের বেলায় অজ্ঞ।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১৮৭-১৮৮)

অলসতার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ গাফলতির সঙ্গে কেবল দুনিয়া নিয়েই পড়ে থাকা। তাদের জ্ঞানের দৌড় এই দুনিয়ার প্রান্ত পার হয়ে অন্য কোনো জগতে যেতে পারে না। তথাপি তারা কেবল দুনিয়ায় বাহ্যিক চাকচিক্যের জ্ঞান রাখে।

আর আল্লাহর বান্দারা! যখন আখেরাতে এসে যাবে, যার ব্যাপারে তারা উদাসীন ছিলো। তখন তাদের আফসোস প্রত্যক্ষ হবে। সেদিন আফসোস করে কোনো লাভ হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
– ‘আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস সম্পর্কে হু’শিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারে মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন তারা গাফিলতিতে আছে আর তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।’ (সুরা মারইয়াম : আয়াত ৩৯)

-‘আর তাদের একজন হতভাগা। আরেকজন সৌভাগ্যবান।’ (সুরা হুদ : আয়াত ১০৫)

শায়খ বালিলাহ বলেন, ‘তাদের একজন চিরস্থায়ী জান্নাতি। আরেকজন চিরস্থায়ী জাহান্নামী। জান্নাতবাসী নাজ -নেয়ামত ও আমোদ- প্রমোদে থাকবে। জাহান্নামীরা হা হুতাশ ও আফসোস -আক্ষেপে করবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মৃত্যুকে একটি ধুসর রঙের মেষের আকারে আনা হবে। তখন একজন সম্বোধনকারী ডাক দিয়ে বলবেন, হে জান্নাতবাসী! তখন তাঁরা ঘাড়-মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। সম্বোধনকারী বলবে, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবেন হ্যাঁ, এ হলো মৃত্যু।
কেননা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর সম্বোধনকারী আবার ডেকে বলবেন, হে জাহান্নামবাসী! জাহান্নামীরা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে, তখন সম্বোধনকারী বলবে তোমরা কি একে চিন? তারা বলবে, হ্যাঁ, এ তো মৃত্যু। কেননা তারা সবাই তাকে দেখেছে। তারপর (সেটিকে) জবেহ করা হবে। আর ঘোষক বলবেন, হে জান্নাতবাসী! স্থায়ীভাবে জান্নাতে থাকো। তোমাদের আর কোনো মৃত্যু নেই। আর হে জাহান্নামবাসী! চিরদিন জাহান্নামে থাকো। তোমাদের আর মৃত্যু নেই। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেলাওয়াত করলেন, তাদের সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিবস সম্বন্ধে, যখন সব ফয়সালা হয়ে যাবে অথচ এখন তারা গাফিল (অলস ছিল), তারা অসতর্ক দুনিয়াবাসী-অবিশ্বাসী।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অলসতা দূর করার উপায় : এই গাফলতিগুলো দূর করার পদ্ধতি হলো দুনিয়ায় অবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি লাভ করা এবং এগুলোকে যথাপোযুক্ত স্থানে প্রয়োগ করা। দুনিয়ায় নিমজ্জিত না হওয়া। দুনিয়ার মহব্বতে অন্তরে এমনভাবে ঢেলে না দেয়া যাতে সে আখেরাতের ব্যাপারে গাফলতি এসে যায়। কেননা দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতিনের মত।

কারণ (কোনো বিষয়ে সতিনের) একজন যে পরিমাণ খুশি হয়। অপরজন সে পরিমাণিই অখুশি থাকে। একটির সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অপরটির সাথে ততটুকু সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

সুতরাং আখেরাতকে চূড়ান্ত লক্ষ্য মনে করে দুনিয়াকে এর উপলক্ষ বানানোই হলো এ গাফলতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ। এই আলোকে দুনিয়া আখেরাতের জন্য ক্ষেত এবং চাষাবাদের উর্বর ভূমি। হাদিসে এসেছে-
‘দুনিয়া হলো আখেরাতের শস্যক্ষেত্র।’

গাফিলতির আরেক প্রকার হলো অতীত জাতিসমূহের অবস্থা ও পরিণতি থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ না করা। এ যাবত কাল পর্যন্ত কত বেশি ইবরত ও শিক্ষা গত হলো!

আর এ থেকে আমরা কত কম শিক্ষা গ্রহণ করলাম! অথচ এগুলোর দ্বারা একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল শিক্ষা গ্রহণ করা। সেগুলো শুধু ইতিহাসের কোনো ঘটনা ছিল না; যে উদাসীন হয়ে আমরা শুধু সেগুলোই নজর বুলিয়ে চলে যাবো। সেগুলো কোনো গালগল্পও ছিলো না। যা শুধু আনন্দ ও অবসরের গল্প বলে গুরুত্ব দেব না।

শায়খ বালিলাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহর কসম! কখনই নয়। এগুলো সে ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত তথ্য বিবরণিকা যিনি সজাগ হৃদয়ের অধিকারী এবং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণকারী। আল্লাহ বলেন-
‘তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোনো মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হেদায়েত।’ (সুরা ইউসুফ : আয়াত ১১১)

মুসলিমদের প্রতি আহ্বান : হে মুসলমান ভাইয়েরা! আল্লাহর জিকির থেকে উদাসীনতাই সবচেয়ে বড় গাফলতি। এটি অন্য সব গাফলতিকে ছাড়িয়ে অবস্থান করে। এটি সবধরনের বিচ্ছিন্নতা, ধ্বংস ও বিনাশকে পরিবেষ্টনকারী।

একারণে আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিকিরের আদেশ দিয়েছেন এবং এ থেকে গাফলতি করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অনুচ্চস্বরে সকালে ও সন্ধ্যায়। আর গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২০৫)

বিশেষ করে : তাই আল্লাহ তাআলা জিকির ত্যাগকারীকে গাফেল হিসেবে গণ্য করলেন। এ রোগগুলো থেকে মুক্তির উপায় হলো সবসময় আল্লাহর জিকির এবং এতে মোজাহাদা করা। কেননা জিকির অন্তরকে ঘুম থেকে সতর্ক করে। আর তন্দ্রা থেকে জাগ্রত করে। অন্তর যখন ঘুমে পড়ে তখন লাভজনক আর কিছু করতে পারে না। এ মূহুর্তে ক্ষতির আশংকায় বেশি থাকে।

সে জাগ্রত হয়ে যখন ঘুমের কারণে হাতছাড়া হওয়া সুযোগের কথা জানতে পারবে তখন কোমড় বেঁধে নেয় আর বাকী দিনগুলোয় জেগে থাকে। যা হাতছাড়া হয়েছে তা পুষে নেয়। আর সজাগ থাকার এ অনুভূতি একমাত্র জিকিরের কল্যাণে অর্জিত হয়। কেননা গাফলত হলো এক গভীর ঘুম।

যে জিনিস এ সমস্ত গাফলতি থেকে হেফাজত করে এবং এই সব অলসতা থেকে রক্ষা করে তাহলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নববি নসিহত ও চিকিৎসা। যার সংবাদ স্বয়ং রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিসে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-
‘যে নামাজে দশ আয়াত তেলাওয়াত করে সে গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত নয়। যে একশ আয়াত তেলাওয়াত করে সে আবেদের অন্তর্ভুক্ত। আর যে এক হাজার আয়াত তেলাওয়াত করে সে পাক্কা ইবাদতগুজার।’ (আবু দাউদ)

অলসতার সবচেয়ে বড় কারণ এবং সফল প্র’তিকার; জিকির ও ইসতিগফার!- গাফলতির সবচেয়ে বড় কারণ দিলের জমিনে গোনাহ জমা এবং গোনাহগারের তাওবাহ না করা। আর এগুলো অবশ্যই অন্তর্দৃষ্টির জ্যোতি ও আলোয় প্রভাব ফেলে। কেননা মানুষ নিশ্চিত গোনাহ করে। আর অন্তরগুলো আস্তে আস্তে অবশ্যই অন্যায় করে। একসময় সেগুলোয় মরিচা ধরে যেমন লোহায় মরিচা পড়ে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বান্দা যখন একটি গোনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে। অতপর যখন সে গোনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবাহ করে তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়।
সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন। কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে মরিচা ধরিয়েছে– (সুরা মুত্বাফফিফীন : আয়াত ১৪)।’ (তিরমিজি)

হজরত ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, অন্তরের মরিচা দুই কারণে হয়-
– গাফলতি এবং
– গোনাহের কারণে।

আবার মরিচা দূরও করে দুই জিনিসে-
– ইসতেগফার এবং
– জিকিরের মাধ্যমে।

শায়খ বালিলাহ আরও বলেন, ‘যার অধিকাংশ সময় গাফলতিতে কাটে তার অন্তরে মরিচা জমতে থাকে। গাফলতি ও অলসতার অনুপাতে প্রতিটি অন্তরে মরিচা পড়ে। অন্তর মরিচাগ্রস্ত হলে তাতে ইলমের আলো পড়ে না। তখন বাতিলকে হক্কের সুরতে দেখে। আর হক্বকে বাতিলের সুরতে।

যখন অন্তরে মরিচা জমাট বাঁধে এবং হৃদয় কালো- ধূসর হয়ে যায়। তখন এর কল্পনা ও বোধ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। তখন হক্ব গ্রহণও করে না। বাতিলকে বারণও করে না। আর এটাই অন্তরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

অন্তরে মরিচা ধরার মূল কারণ গাফলতি বা অলসতা এবং প্রবৃত্তির অনুগামিতা। কেননা এ দুটো অন্তরের আলোকে নিষ্প্রভ করে দেয় এবং অন্তর্দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যার অন্তরকে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, সে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং তার কার্য -কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার অনুগত্য করবেন না।’

সুতরাং মমিন মুসলমানের জেনে রাখা জরুরি যে, সজাগ কর্ণকুহরে ঈমানের আহবানকারী ঈমানের আওয়াজ শুনিয়ে দিয়েছেন। উন্মুক্ত হৃদয়ের জন্য কুরআনের উপদেশ নসিহত বলা হয়েছে। কিন্তু অন্তরে সন্দেহ -সংশয় ও কামনা -বাসনার ঝড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। হৃদয়ের প্রদীপগুলো নিভে গিয়েছে । সেখান দখল করে নিয়েছে জাহালাত ও গাফিলতির কালো হাত।

অন্তরের সব হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চাবিগুলোও হারিয়ে গিয়েছে। তার কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আর কোনো ভালো কথা ফায়দাজনক মনে হয় না।

ভ্রান্ত কামনা চরিতার্থে সে মত্ত সুতরাং এরপর আর কোন ভৎসনায় কর্ণপাত করবে না। তাকে অনেক ওয়াজ নসিহত করা হয়েছে যে তোমাকে সওয়াল ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তবুও সে মারা গেল অজ্ঞতা ও মূর্খতার সাগরে। কামনা বাসনা ও প্রবৃত্তি প্রমোদের বেড়াজালে। মরা দেহে আঘাত করলে তো আর ব্যথা লাগে না!

মুসলিম উম্মাহ উচিত, কাবা শরিফের খতিব ও ইমাম শায়খ বান্দার বিন আব্দুল আজিজ বিন বালিলাহ-এর নসিহত ও অসলতা থেকে বাঁচার উপায়গুলো যথাযথভাবে মেনে চলার মাধ্যমে দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি। উৎস: জাগো

ad

পাঠকের মতামত