330644

ফ্লাইট নিয়ে নতুন নোটিশ জারি করলো বিমান বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক।।  গতকাল ৫ তারিখ রবিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স নতুন এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে বরা হয়েছে যে আগামী ৭ ই জুলাই থেকে ১৬ ই জুলাই ২০২০ পর্যন্ত দুবাই টু ঢাকা বাংলাদেশ বিমানের সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে যে সকল যাত্রীরা ইতিমধ্যে টিকেট সংগ্রহ করেছেন সে টিকেটর মেয়াদ ১ বছর থাকবে, ফলে তারা আগামী এক বছরের মধ্যে যে কোনো সময় ভ্রমণ করতে পারবেন বা টিকেট পরিবর্তন করে পুরো অর্থ ফেরত নিতে চান তারা কোন রকম চার্জ ছাড়াই সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।

প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে ভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৮০০ ছাত্র-ছাত্রীসহ সারাবিশ্বের ১১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে চলে যাবার নির্দেশ জারি হয়েছে।

সোমবার (৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এ নির্দেশ জারি করেছে। আইসিই জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী গ্রেফতারের পর সবাইকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার কারণে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ক্লাস অনলাইনে করা হবে। তাই সশরীরে ক্লাসে থাকার কোনই প্রয়োজন নেই। আইসের এই পদক্ষেপের ভিকটিম হবেন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীসহ যারা স্বল্প মেয়াদি ট্রেনিং কোর্স (নন-একাডেমিক অথবা ভকেশনাল) নিতে এসেছেন তারাও।

আসছে সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ইউনিভার্সিটি। চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মিলিত হয়েছেন। করোনার উৎপাত অব্যাহত থাকলে ক্যাম্পাসে কারোর উপস্থিতি স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক হবে না বলেও এসব মিটিংয়ে অভিমত পোষণ করা হয়েছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নির্দেশ অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ আটজনকে বসার ব্যবস্থা করা যাবে। অবশিষ্ট ২২ থেকে ২৩ জন কীভাবে ক্লাস করবেন-এমন প্রসঙ্গও উঠেছে ওইসব নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি দেশের একটি যেসব দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়। গত শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি।

হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে অধ্যায়নরত ভ্যালোরিয়া ম্যান্ডিওলা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, অভিবাসন বিভাগের এই সিদ্ধান্ত খুবই হতাশাজনক। যদি আমাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হয় তাহলে আমি আমার দেশ মেক্সিকো যেতে পারব। কিন্তু এখানে অনেক শিক্ষার্থীই আছেন যারা এই মুহূর্তে তাদের দেশে ফিরতে পারবেন না।

ad

পাঠকের মতামত