329318

ফ্রিজে করোনা রোগীর লা’শ!

ডেস্ক রিপোর্ট।। ভারতের কলকাতার আমর্হাস্ট স্ট্রিটের একটি বাসায় মৃ’ত্যুর প্রায় ৪৪ ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিল একজন করোনা আ’ক্রান্তের মৃ’তদেহ। সোমবার (২৯ জুন) দুপুর তিনটায় মৃ’ত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তারপর থেকে পরিবার একবার থানা, একবার স্বাস্থ্য ভবন, একবার কলকাতা পৌরসভা এইভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও দেহ সংরক্ষণের জন্য একাধিক জায়গায় যোগাযোগও করেন। তবে লাভ হয়নি। দেহতে পচন শুরু হয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার (৩০ জুন) অনেক কষ্টে একটি ফ্রিজ জোগাড় করেন।

বুধবার (০১ জুলাই) সকালের পর কলকাতা পৌরসংস্থা দেহ নেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে। প্রথম এমন ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা।

আমর্হাস্ট স্ট্রিটের ওই বাসিন্দা সোমবার দুপুর ৩টায় মা’রা যান বাড়িতেই। পরিবারের লোকজন চিকিৎসক ডেকে আনেন বাড়িতে। একাধিক প্রতিবেশীর মতে, করোনা উপসর্গ ছিল ওই প্রবীণের। মৃ’ত্যু সংবাদ পেয়ে ওই চিকিৎসক পিপিই পরে ওই বাড়িতে আসেন। করোনা আ’ক্রান্ত কিনা সেই নমুনা ওই দিন সকালেই চিকিৎসকের পরামর্শে একটি বেসরকারি ল্যাবে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ মৃ’ত্যু হয়েছিল ওই প্রবীণের। সেই কারণে ওই চিকিৎসক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন।

মৃ’তের আত্মীয় বলেন, ‘মৃ’ত্যুর পর আমরা থানায় যাই। তারা বলেন, স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য ভবনের হেল্পলাইনের কল করেও আমরা ফোনে পাইনি। হেল্পলাইন নম্বর বেজেই গেল। রাত নটা পর্যন্ত কিছু করতে না পেরে দেহটি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। চিকিৎসক সেইমতো লিখেও দেন। কিন্তু কোনো সংরক্ষণ কেন্দ্র এই দেহ নিতে চায়নি। পুলিশকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অ’ভিযোগ।

দেহ পড়ে থাকে ওই আবাসনের বাড়িতেই। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা যান কলকাতা পুরসভার অফিসে। নিয়ম জানিয়ে তারা জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবনে যেতে। কিন্তু স্বাস্থ্যভবন থেকেও রিপোর্ট আনার জন্য বলে দেয়। রাত এগারোটায় রিপোর্ট হাতে পান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে করোনা আ’ক্রান্ত অর্থাৎ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার থেকে একটি ফ্রিজে দেহটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

ad

পাঠকের মতামত