323530

ডিমে ‘বি’ষ’ মেশানোর অভিযোগ প্রমাণিত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেদারল্যান্ডস আর বেলজিয়ামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বি’রুদ্ধে ডিমে বি’ষাক্ত ফিপ্রোনিল মেশানোর অ’ভিযোগ উঠেছিল। এই কারণে হ’ত্যা করা হয়েছিল ৩০ লাখ মুরগি, ন’ষ্ট করা হয়েছিল লাখ লাখ ডিম।

এরপর ইউরোপের একশ ২০ জন মুরগি খামারি নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান দুটির মালিকের বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছিলেন। মা’মলায় ক্ষ’তিপূরণও দাবি করেছিলেন তারা। অবশেষে সেই মা’মলার রায় হয়েছে।

চিকফ্রেন্ড ও ঠিকক্লিন নামের প্রতিষ্ঠান দুটোর কাজ মুরগি শিল্পকে জী’বাণুমুক্ত রাখা। ২০১৭ সালে তাদের বি’রুদ্ধেই উঠেছিল ডিম বি’ষাক্ত করার অ’ভিযোগ। অ’ভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান দুটি মুরগি খামারিদের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নিরাপদ জীবাণুনাশক বলে যা সরবরাহ করেছিল তা আসলে ছিল মাছি, উকুন এবং এঁটেল পোকা মারার ওষুধ ডেগা-১৬। প্রতিষ্ঠান দুটো ইউক্যালিপটাস এবং মেন্থল মিশিয়ে তৈরি করা নিরাপদ জী’বাণুনাশক বলে চালিয়ে দিলেও সেই ওষুধে আসলে ফিপ্রোনিল থাকে।

অ’ভিযোগ ওঠার পর ইউরোপের ২৫ টি দেশ এবং হংকংয়ের বাজার থেকে লাখ লাখ ডিম ফিরিয়ে নিয়ে নষ্ট করতে বাধ্য হন মুরগি খামারিরা। হ’ত্যা করতে হয় ৩০ লাখ মুরগি। ২০১৭ সালে চিকফ্রেন্ড এবং চিকক্লিনের দুই নির্বাহীকে গ্রে’প্তার করা হলেও পরে মা’মলা নি’ষ্পত্তির আগ পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্তি পান৷ এরপর বুধবার নেদারল্যান্ডসের আরনেম শহরের আদালত ডিম জী’বাণুমুক্ত করার নামে বি’ষাক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে দো’ষী সাব্যস্ত করেছে। প্রমাণিত হয়েছে যে তারা ডিমে বি’ষ মিশিয়েছিলেন। উৎস : ডিডাব্লিউ বাংলা।

ad

পাঠকের মতামত