315685

যুবলীগ নেতার মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক।। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদক কারবারের অভিযোগে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জুয়েল সরকারের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি উপজেলার ধেরুয়াহাটি গ্রামের মোনছের আলীর ছেলে এবং মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৪৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়েল সরকার একটি ঘরের বিছানায় বসে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে ইয়াবা সেবন করছেন। তার এই ভিডিওটি কে বা কারা কৌশলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে।

ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল করার সন্দেহে প্রভাষক মামদুদুর রহমান মইনুল ও শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে হুমকি দিয়েছেন জুয়েল সরকার। এ ঘটনায় জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে ২২ মার্চ ও ৩১ মার্চ থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে পিটিয়েছেন জুয়েল সরকার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাষককে হুমকি ও শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তার মাদক সেবনের একটি ভিডিও অনেকদিন থেকে ভাইরাল হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্ত এই ভিডিওটি হাতে পাইনি। তারপরও খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দরিদ্র পরিবারের সন্তান জুয়েল সরকার ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি ২০১০ সালে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। ২০১৩ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদ নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালে বাগিয়ে নেন মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কারবার করে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে থাকেন। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অবৈধপথে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে ওঠেন।

তিনি ২০১৬ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তার দাপট আরও বেড়ে যায়। এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিতি পান জুয়েল সরকার। পুলিশ ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ইয়াবা জব্দ করে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলের সহযোগী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কৌশলে পালিয়ে যান জুয়েল সরকার। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত