315717

একটি সুসংবাদ আসছে : আসিফ নজরুল

নিউজ ডেস্ক।। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ক’রো’নাভা’ইরা’স পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করা কিট নিয়ে একটি সুসংবাদ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আজ রোববার নিজের ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়ে এ সুসংবাদ দেন তিনি।

আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলো : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেছিলাম একটা কাজে। তিনি দিলেন বিরাট এক সুসংবাদ। জাতিকে তিনি করোনা শনাক্তকরণ কিট উপহার দিতে যাচ্ছেন ১১ এপ্রিল। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামান্য সহযোগিতা লাগবে। তা পেলে তিনি আশাবাদী, ১১ এপ্রিল থেকে দেশে উৎপাদিত কিটে স্বল্পমূল্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন গাইডলাইনে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে করোনাবাহী মানুষকে চিহ্নিত করে আলাদা রাখার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া আর তাইওয়ানের মতো দেশ এটি করেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে।

করোনাবাহী মানুষকে আলাদা রাখতে হলে প্রথমে তার দেহে করোনাভাইরাস আছে কি না শনাক্ত করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নেই। অথচ বাংলাদেশে শুরু থেকে রয়েছে শনাক্তকরণ কিটের মারাত্মক স্বল্পতা। পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেও কম মাত্রায় হলেও এ সংকট রয়েছে। ফলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট বের করার ফমুর্লার সংবাদটি মাসখানেক আগে প্রকাশ করা মাত্র তা দেশে বিদেশে আলোড়ন তোলে। ডা. জাফরুল্লাহ ও কিটের ফমুর্লা আবিষ্কারকারী দলের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীলকে নিয়ে সংবাদ ছাপা হতে থাকে প্রায় প্রতিদিন।

ডা. জাফরুল্লাহ আমার সাথে আলাপে ফর্মুলাটি বাস্তবায়ন করে কিট উৎপাদনের কাজে সরকারের বিভিন্ন অকুণ্ঠ সহযোগিতার কথা বললেন। তিনি বিশেষভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার কথা জানালেন। তিনি মনে করেন, এখন শুধু সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটু সহযোগিতা দরকার। সহযোগিতা দরকার বাংলাদেশি মানুষের রক্তে এই কিট দিয়ে করোনা শনাক্তকরনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতির। সেটি দ্রুততার সাথে পেলে ১১ এপ্রিলে তিনি দিবেন সুসংবাদটি। আমরা এ সুসংবাদের অপেক্ষায় থাকলাম।

ad

পাঠকের মতামত