315621

এইচএসসি পরীক্ষা হতে পারে রোজায়

নিউজ ডেস্ক।। করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রোজার মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। গতকাল শনিবার বিকালে আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।

বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। আমাদের একটি প্রাথমিক ভাবনা হচ্ছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অন্তত ১৫ দিন পর পরীক্ষা শুরু করার। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা যেন আরেকবার তার পাঠ্যবইয়ে চোখ বুলিয়ে নিতে পারে।

বোর্ডকে আবার নতুন করে পরীক্ষা সূচি তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া পরীক্ষা গ্রহণের সব প্রস্তুতি আছে। পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় না থেকে শিক্ষার্থীদের বাসায় মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়ার আহ্বান জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর যে রুটিন ছিল, তাতে শেষের কয়েকটি পরীক্ষা রোজার মধ্যে পড়েছে। এমন তো নয় যে রোজায় পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

গত ১ এপ্রিল থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। একই কারণে ১৬ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। অর্থাৎ, ২৭ দিনের ছুটিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত বছর ১০টি শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন অংশ নেয়। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা।

শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অন্যান্য ছুটি কমিয়ে করোনার ছুটিতে লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ২৫ এপ্রিল থেকে রোজা উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক মাসের ছুটি রয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এ ছুটি এবার একটু আগেই শুরু হয়েছে। আমি মনে করি সামনের ছুটিগুলো কমিয়ে ক্লাস নিয়ে এ ক্ষতি পোষানো সম্ভব। বাড়তি ক্লাস নেওয়ার সুযোগের জন্য এইচএসসি পরীক্ষা দিনে দুই শিফটে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

শিক্ষকদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়তে পারে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কিছুটা কমাতে ইতোমধ্যে মাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয়ের ধারণ করা ক্লাস সংসদ টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিকের ক্লাসও এ টিভিতে প্রচারিত হবে। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত