315505

করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃ’ত্যু, নতুন আ’ক্রান্ত ৯

নিউজ ডেস্ক।। প্রাণ’ঘাতী ক’রোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজন মা’রা গেছেন। বৈশ্বিক মহামারীটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে মোট ৮ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। কোভিড-১৯ নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে শনিবার দুপুরে এক অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এমন তথ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাই’রাসটিতে নতুন করে ৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনের পরীক্ষা ঢাকায় আইইডিসিআরে হয়েছে। একজনের হয়েছে ঢাকার বাইরে। আ’ক্রান্তদের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলেও জানান এই অধ্যাপক।

সেব্রিনা বলেন, আ’ক্রান্তদের ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের আ’ক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস পাওয়া গেছে। তারা ইতিমধ্যে সংক্রমণ আছে, এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন বা পরিবারের সদস্য। দুজন বিদেশ থেকে এসেছিলেন। দুজন বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। বাকি দুইজনের ব্যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তাদের বয়সের বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, দুটি শিশু। যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে। তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। একজনের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ও একজনের বয়স ৯০ বছর।

মারা যাওয়া দুজনের একজন গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিলেন জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আরেকজন আগেই শনাক্ত হয়েছিলেন। তাদের একজনের বয়স ৯০ বছর, আরেকজনের ৬৮ বছর।

তিনি বলেন, মা’রা যাওয়া দুজনের একজন ঢাকার বাইরের, আরেকজন ঢাকার। দুজনের বয়সই ষাটোর্ধ্ব। পাশাপাশি তাদের অন্যান্য অসুখও ছিল। তাদের একজনের হৃদরোগ ছিল, আরেকজনের স্ট্রোকের ইতিহাস ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, আইইডিসআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবার মুখে ছিল মাস্ক।

৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ক’রোনাভা’ইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এরপর ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃ’ত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মত সংস্থাটি জানায় যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত