315403

চীনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন ‘কার্যকর’ অ্যান্টিবডি

নিউজ ডেস্ক।। মানবদেহ কোষে ক’রোনা ভাই’রাসের প্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর কয়েকটি অ্যান্টিবডি পৃথক করার কথা জানিয়েছেন চীনের একদল বিজ্ঞানী। এগুলো কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন তারা। সম্প্রতি বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাং লিনছি ও তার টিম এই অ্যান্টিবডিগুলো সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানায়। খবর : রয়টার্স।

এসব অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি করা একটি ওষুধ বর্তমানে প্রয়োগরত পদ্ধতির চেয়ে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে দাবি করেন ওই বিজ্ঞানীরা। তারা আরও বলেন, প্লাজমার মতো ‘বর্ডারলাইন’ চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাজমায় অ্যান্টিবডি থাকে, কিন্তু এগুলো ব্লাড টাইপ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। জানুয়ারির প্রথম দিকে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া চীনা রোগীদের দেহ থেকে রক্ত নিয়ে তা থেকে সংগ্রহ করা অ্যান্টিবডি বিশ্লেষণ শুরু করেছিলেন ঝাংয়ের টিম ও শেনঝেনের তৃতীয় গণহাসপাতালের আরেকটি টিম।

তারা ২০৬টি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি পৃথক করেন। এ অ্যান্টিবডিগুলো ক’রোনা ভা’ইরাসের প্রোটিনের সঙ্গে বন্ধন গড়ে তোলার জোরালো সক্ষমতা দেখিয়েছে বলে ঝাং জানান। এরপর তারা আরও কয়েকটি পরীক্ষা করে সত্যিই মানবদেহ কোষে ভাইরাসটির প্রবেশ রোধ করা যায় কিনা, তা যাচাই করেন বলে এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেন তিনি। প্রথম যে ২০টির মতো অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়, সেগুলোর মধ্যে চারটি ভাইরাসের প্রবেশ আটকাতে সক্ষম হয়, আর এগুলোর মধ্যে দুটি অত্যন্ত ভালো সক্ষমতা দেখায় বলে ঝাং জানান।

ঝাংয়ের টিএম এখন সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিবডিগুলো শনাক্ত করার কাজে মনোনিবেশ করেছে। অগ্রগতি সন্তোষজনক হলে প্রথমে প্রাণীর ওপর, তারপর মানুষের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। এরপর আগ্রহী উৎপাদকরা ওষুধটির উৎপাদন শুরু করতে পারবেন।

ad

পাঠকের মতামত