314638

ঢাকায় খোলা রাখা যাবে খাবার হোটেল

নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধসহ বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সুপারশপ, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে খাবারের হোটেল খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে দোকানে বসে কেউ খেতে পারবে না। কারও প্রয়োজন হলে খাবার কিনে বাসায় নেওয়া যাবে।

ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান উল্লেখ করেন, সাধারণ মানুষ যেন দু্র্ভোগে না পড়ে সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার কথায়, ‘করোনা প্রতিরোধে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে হোটেল খোলা রাখা যাবে। তবে ভেতরে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের সুযোগ নেই। ক্রেতারা শুধু পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে।’

হোটেল মালিকরা খাবার তৈরি থেকে শুরু করে বিক্রি করার পুরো প্রক্রিয়া যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে করছেন কিনা তা তদারকি করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

যদিও ডিএমপির পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে খাবারের হোটেল খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুদ হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘ওয়্যারলেসে নির্দেশনা পেয়েছি, খাবারের হোটেল খোলা থাকবে। তবে দোকানের ভেতরে বসিয়ে কাউকে খাওয়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে শুধু পার্সেল দিতে হবে।’

ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিশ রিলেশন্স বিভাগ) মাসুদুর রহমান পার্সেলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্রেতা সশরীরে হোটেলে এসে খাবার নিয়ে যেতে পারবে। হোটেল থেকে বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ থাকছে না ।’

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্সেল হিসেবে খাবার বিক্রির সুযোগ থাকার বিষয়টি জানেন না অনেক মালিক। এ কারণে তারা হোটেল খুলছেন না বলে দাবি করেছেন। তাছাড়া দশ দিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা পেয়ে অধিকাংশ কর্মচারী ঢাকা ছেড়েছে। জনবল সংকটের কারণে ক্রেতাদের সেবা দিতে পারছেন না অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার হোটেল বন্ধ দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ধানমন্ডি এলাকার ‘বাসমতি কাচ্চি’র স্বত্বাধিকারী বাসুদেব সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার থেকেই দোকান বন্ধ করে কর্মচারীদের ছুটি দিয়েছি। এমনিতেই করোনা আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে, তাছাড়া দশ দিন সবকিছু বন্ধ; তাই ধরেই নিয়েছি আমাদের বিক্রি আশানুরূপ হবে না।’

খাবারের হোটেল খোলা রেখে শুধু পার্সেল দেওয়ার কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় বেশিরভাগ মালিক দোকান বন্ধ রেখেছেন বলে মন্তব্য এই ব্যবসায়ীর। তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে সত্যিই খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সব নিয়ম মেনে আবারও দোকান খুলতে চান তিনি। এদিকে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সবাইকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী ৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উৎস: বাংলা ট্রিবিউন।

ad

পাঠকের মতামত