312888

সেঞ্চুরিয়ান আরভিনের উইকেট দিন শেষে স্বস্তি বাংলাদেশের

নাঈম হাসান এবং আবু জায়েদ রাহী মিলে জিম্বাবুয়ে ইনিংসে ভালোই একটা ধ্বস নামাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

বাংলাদেশের চার বোলারকে স্বাচ্ছন্দেই খেলে যেতে থাকলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তুলে নিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আরভিন জানান দিলেন, বাংলাদেশে লড়াই করতেই এসেছেন তিনি।

নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন কিংবা আবু জায়েদ রাহীদের কখনো পেস, কখনো মায়াবী ঘূর্ণি- সবই উপেক্ষা করে যাচ্ছিলেন আরভিন।

অবশেষে শেষ বিকেলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সেই আরভিনকে তুলে নিলেন দিনের সবচেয়ে সফলতম বোলার নাঈম হাসান। দিনের খেলা মাত্র ১০ বল বাকি থাকতেই নাঈম হাসানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরভিন। ২২৭ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন ১০৭ রান। বাউন্ডারির মার ছিল ১৩টি।

প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৯০ ওভারে ৬ উইকেচ হারিয়ে ২২৮ রান। রান তোলার গড় ছিল ২.৫৩ করে। একেবারে খাঁটি টেস্ট ইনিংস মনে হবে যেন এটাকে। ৯ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন রেগিস চাকাভা এবং কোনো রান না নিয়ে ডোনাল্ড তিরিপানো।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অতি-সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী আর এবাদত হোসেন প্রথম ৪ ওভারই নেন মেডেন। পঞ্চম ওভারে ১ রান আসলেও সেটি ছিল ওয়াইড থেকে। ৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল বিনা উইকেটে মাত্র ১।

জিম্বাবুয়ের সেই ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে আঘাত হানেন ডানহাতি এই পেসার। ২ রান করে গালিতে নাইম হাসানের ক্যাচ হন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার কেভিন কাসুজা।

তবে ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারালেও পরে সেই ধাক্কা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে ১১১ রানের জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন। তারপরই জোড়া আঘাত নাইমের।

বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রানের বড় জুটি গড়ে ফেলেন তারা। কোনোকিছুতেই কিছু হচ্ছিল না, রান বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন এই যুগল।

শেষতক চোখ রাঙানো এই শতরানের জুটিটি ভাঙেন নাইম হাসান। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে হাফসেঞ্চুরিয়ান মাসভরেকে (৬৪) ফিরতি ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার।

পরের ওভারে এসে আবারও আঘাত। এবার নাইমকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা ব্রেন্ডন টেলর। কপালটা খারাপই বলতে হবে এই ব্যাটসম্যানের। বল ব্যাটে লেগে দুই তিন ড্রপে স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ১০ রান করেন টেলর।

এরপর ২০ ওভারের আরও একটি জুটি ক্রেইগ আরভিন আর সিকান্দার রাজার। তারা মাত্র ২ গড়ে তুলেন ৪০ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটিও ভাঙেন নাইম, রাজাকে (১৮) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি।

তারপরও ‘ধীরে চলো নীতি’ থেকে সরে আসেনি জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম উইকেটে তিমিসেন মারুমাকে নিয়ে প্রায় ১০ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন আরভিন। নতুন বল হাতে নেয়ার ঠিক আগের ওভারে মারুমাকে (৭) এলবিডব্লিউ করেন আবু জায়েদ রাহী।

ad

পাঠকের মতামত