312867

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

পরে সংসদের চিফ হুইপ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দেশের সূর্যসন্তান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে।

এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়ই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

ad

পাঠকের মতামত