312591

চিনিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক, বাড়ছে কঠিন রোগের ঝুঁকি

চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে সাদা চিনি। এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। যার ফলে সবসময় ধোঁয়াশা ও বিষন্নতায় ভুগতে হয়। কোনো কাজেই সঠিকভাবে মনোনিবেশ করা যায় না। পাশাপাশি শেখা, জানা, বিচার-বিবেচনা কিংবা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। ব্যক্তি ক্রমশ নির্বাক হয়ে পড়েন।

লেখক ও সাইকোথেরাপিস্ট ডা. মাইক ডো তার ‘দ্য সুহার ব্রেইন ফিক্স’ নামক বইয়ে এমনই তথ্য দিয়েছেন। তার মতে, বর্তমানে সবাই মিষ্টিজাতীয় খাবারের লোভে পড়ে নিজেরেই ক্ষতি করছেন। চিনি স্বাস্থ্যে অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবারে অতিরিক্ত চিনি বা হাই ফ্রুকটোজ সিরাপ ও সুক্রোজ দিয়ে তৈরি করা হয়। এসবই নেশা উদ্রেককারী।

জানেন কি? মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় চিনি। এটি না থাকলে মস্তিষ্ক তার কর্মক্ষমতা হারায়। (ডা. ভিরা নোভাক)। সেইসঙ্গে গ্লুকোজেরও প্রয়োজন হয় মস্তিষ্কের। এই উপাদানটি থেকেই আমরা প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করি। তবে সাদা চিনি ভেবে ভুল করবেন না যেন! সাদা চিনি হলো সুক্রোজ, যা ভাঙার প্রয়োজন হয় না, দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং রক্তে চিনির পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।

চিনি মানব শরীরে এক ধরনের চর্বি (ট্রাইগ্লিসারাইড) হিসেবে জমা হতে থাকে। তাই সাদা চিনি খেলে শরীরে চর্বির পরিমাণও বাড়ে। এর ফলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ফ্যাটি লিভারসহ নানা রোগ দেখা দেয়।

ডা. ডো বলেন, চিনি ধীরে ধীরে মানুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলেই কঠিন সব রোগের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এজন্য কেটোজেনিক কিংবা নিরামিষ ডায়েটের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এসব ডায়েটে খারাপ নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এমন চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রাকৃতিক যেসব ফলে সুগার রয়েছে সেগুলো খেতে পারেন। এতে করে শরীরে সুগারের পরিমাণ ঠিক থাকবে।

সূত্র: এমএসএন

ad

পাঠকের মতামত