312532

বিশ্বাসের সম্পর্কটা অবিরাম

চলচ্চিত্রের আদর্শ তারকা দম্পতি হিসেবে সব সময়ই সবার কাছে সমাদৃত তারকা জুটি নাইম-শাবনাজ। এ তারকা জুটি গেল অক্টোবরে তাদের দাম্পত্য জীবনের রজতজয়ন্তী পূর্ণ করে। বিগত পঁচিশটি বছর তারা সুখে-দুঃখে একসঙ্গে আছেন।

তারা দুই গর্বিত কন্যা সন্তানের মা। বড় মেয়ে নামিরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় আছেন এবং ছোট মেয়ে মাহাদিয়া রাজধানীর উত্তরার আগা খাঁতে পড়াশোনা করছেন। মাহাদিয়া আবার একজন গায়িকা হিসেবেও এরই মধ্যে বেশ প্রশংসিতও হয়েছেন।

তাদের ভালোবাসার পর্ব শুরু ১৯৯১ সাল থেকে। সে বছর ৪ অক্টোবর এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে নাইম-শাবনাজ জুটির অভিষেক হয়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এই জুটির অভিষেকের মধ্য দিয়ে আরেক রোমান্টিক জুটির সফল যাত্রা শুরু হয়।

এরপর একে একে এই জুটি দর্শককে উপহার দেন ‘দিল’, ‘সোনিয়া’, ‘চোখে চোখে’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘অনুতপ্ত’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘জিদ’-সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্র।

সর্বশেষ তারা দুজন ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন। নাইম সর্বশেষ ‘মেয়েরাও মাস্তান’ এবং শাবনাজ সর্বশেষ আজিজুর রহমানের ‘ডাক্তার বাড়ি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর নাইম শাবনাজ জুটিকে আর চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দেখা যায়নি। আলমগীর পরিচালিত ‘নির্মম’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য শাবনাজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।

নাইম বলেন, ‘আমার বাবা ইন্তেকাল করেন ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে। বাবা মারা যাবার পর আমাকে শাবনাজই মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে যা সে সময় আমার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। পরবর্তীতে আমরা বিয়ে করি। আমাদের ঘর আলোকিত করে নামিরা মাহাদিয়া আসে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সব সময়ই সুখে ছিলাম, সুখেই আছি।

আমার জীবনে শাবনাজের ভূমিকা অনেক বড়, এটা সত্যিই অল্প কথায় ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। জীবনের ক্রান্তিকালে শাবনাজ আমার হাতে হাত না রাখলে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার জন্য সত্যিই ডিফিকাল্ট হতো।’

শাবনাজ বলেন, ‘এতটা বছর পেরিয়ে গেলেও জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভীষণভাবে মনে পড়ছে। মনে পড়ছে বিয়ের দিনটির কথা। খুব তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়েই আমরা বিয়ে করেছিলাম।

সেই থেকে আমরা সুখে-দুঃখে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একসঙ্গে আছি, আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি, সুখে আছি। এখন যেভাবে আছি সারাটা জীবন যেন নাইমের সঙ্গে এভাবেই কাটিয়ে দিতে পারি-এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কী-ইবা হতে পারে। আমার মেয়ে দুজনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

ভালোবাসা দিবসে এ জুটি তাদের পরিবারকে নিয়েই উদযাপন করবেন। তাদের কাছে ভালোবাসা মানে ২৫ বছর একসাথে থাকা, তাদের কাছে ভালোবাসা মানে সুখে-দুঃখে এক অপরকে সহযোগিতা করা। পাশে থাকা মৃ ত্যুর আগ পর্যন্ত।

ad

পাঠকের মতামত