312394

৩ মাসে মসজিদের দানবাক্সে দেড় কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। যা দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

আজ শনিবার বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর রেকর্ড সর্বোচ্চ এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। প্রতিবারই দানের টাকা কোটি ছাড়িয়ে যায়। এবার তিন মাস ১৯ দিন পর দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। গত বছর ১৩ জুলাই এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং ১৩ এপ্রিল এক কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া গত বছরের শুরুতে ১৯ জানুয়ারি পাওয়া যায় এক কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা। অর্থাৎ গত এক বছর ২৬ দিনে পাগলা মসজিদে দান হিসাবে পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক লাখ ৩৪ হাজার টাকা মসজিদটিতে মানুষ দান করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় মসজিদ মাদ্রাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল ও শফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

ad

পাঠকের মতামত