312291

ছেলের ছবিতে চুমু দিয়ে মায়ের আর্তনাদ

যে সন্তানকে তিল তিল করে স্নেহ-মমতায় এত বড় করে তুলেছি, সে আজ বেঁচে নেই। আল্লাহ অ’ আমার এই সর্বনাশটা কেন করলা! আমার পোলার কী দোষ ছিল?’ তোমরা আমার নাড়ি ছেড়া ধন শাকিলকে এনে দাও। শাকিলের মায়ের এমন আহাজারিতে উপস্থিত সবার চোখ উপচে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। সবার কান্নার স্রোতে চলছিল প্রতিবাদ সভা। এ সভায় ছেলের হত্যার বিচার চাইছিলেন শাকিলের মা। তার বুক ফাটা আর্তনাদ সবাইকে আবেগ তাড়িত করে তোলে।

সভার পরিবেশ আরো ব্যথাময় হয়ে উঠে যখন ব্যানারে শাকিলের ছবিতে চুমু দিয়ে এভাবেই আর্তনাদে ভেঙে পড়েন শাকিলের মা হাসনেয়ারা ও খালাসহ তার আত্মীয়স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে চোখের পানি কেউ যেন আটকাতেই পারছিলেন না।

এ সময় শাকিল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে আকাশ বাতাস। শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপজেলার রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কিশোর শাকিল হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে রাধারনগর এলাকাবাসী।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মো. সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মাহবুব আলম সরকার, আরিফুল ইসলাম মিয়াজী, ফারহান ভূঁইয়া,জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, মো. জাকির হোসেন, জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া,বদিলউল আলম ভূঁইয়া, রাসেল আহমেদ, মাহবুব আলম, আল আমিন ভূঁইয়া, মো. আসাদুল্লাহসহ আরো অনেকে।

মো. আনিছুর রহমান মিয়াজীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, নিরীহ শাকিল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই চিহ্নিত। মামলার চার ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেফতার করায় থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, যারা এখনও ধরা পড়েনি তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে।

এ সময় শাকিল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে রাধানগনর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নারী পুরুষ অংশ নেয়।

গত রোববার বিকেলে শত্রুতার জেরে রাধানগর গ্রামের কিশোর শাকিল নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরিফ নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরিফ আদালতে শাকিল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ মামলায় অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত