309645

বিশ্বকাপে ৬ অধিনায়ক পেয়েছিলেন ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব!

২০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনসি ক্রনিয়ের হাত ধরে সর্বপ্রথম ‘ম্যাচ পাতানো’ শব্দটি ক্রিকেটে প্রবেশ করে। তখন আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট না থাকলেও অভিযোগ প্রমান হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগে আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের মহা-ব্যবস্থাপক আলেক্স মার্শাল জানান, বিশ্বকাপে ৬ জন অধিনায়ক জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিল!

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের মহা-ব্যবস্থাপক মার্শাল বলেন, ‘আমরা এখনকার সময়ে বেশ ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। কারণ, আমরা খেলোয়াড়দের সম্ভাব্য জুয়াড়িদের ছবি দেখিয়েছি। গেল বিশ্বকাপের সময়ও ওইসব জুয়াড়িরা বেশ কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভবিষ্যত টি-টোয়েন্টি ইভেন্টগুলোকে ম্যাচ পাতানোর বিষয়ে। যদিও সেগুলোর কোনোটিই বিশ্বকাপে ম্যাচ পাতানোর বিষয়ে ছিল না। সেই দিক দিয়ে আমরা বলতে পারি বিশ্বকাপ ছিল নিষ্কলঙ্ক। বিশ্বকাপে খেলা ৬ জন অধিনায়ক আমাদের কাছে রিপোর্ট করেছে যে তারা জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছে’। মার্শাল আরও বলেন, ‘জুয়াড়িরা অধিনায়কদের বেশি টার্গেট করে। কারণ, তারা মাঠে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর তাদের পছন্দ উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান ও বোলার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। জুয়াড়িরা আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল হয়। তারা অনেক টাকা ঢালতে পারে। তাই তারা বিভিন্ন লিগে ভালো করতে থাকা আর্থিকভাবে দুর্বল দলগুলোকে টার্গেট করে। এমন কিছু দলকে টার্গেট করে যারা প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার বিভাগে উঠে আসে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব চলছে। সেখানে তিনটি দলের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে। সেই তালিকায় আরব আমিরাতও রয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। নিষিদ্ধও করা হয়েছে।’

ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর যে ঝুঁকি রয়েছে সেটাকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না মার্শাল। তিনি বলেন, ‘আসলে কেউ না কেউ তাদের ফাঁদে পা দেয়। সেই ঝুঁকিটা কিন্তু সব সময়ই থাকে। তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল হেনসি ক্রনিয়ের সময়ে ‍দুর্নীতি দমন আচরণবিধি ছিল না। ছিল না দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষার ব্যবস্থা, প্রচার-প্রচারণা। ছিল না দুর্নীতি দমন ইউনিট। এখন আছে। জুয়াড়িরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় টার্গেট করা খেলোয়াড়দের পেছনে অনেক টাকা খরচ করে। সেখান থেকে একজনকে পেলেও তারা খরচ করা টাকার অনেক বেশি বেটিংয়ের মাধ্যমে তুলে ফেলতে পারে।’

ad

পাঠকের মতামত