309535

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে যে অবস্থান নিয়েছে ৬ দেশ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দ্বৈরথ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলায় কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। এরই মধ্যে ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। কোনো দেশ সরাসরি ইরানের পক্ষে, কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, আবার অনেক দেশ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখে।

১. রাশিয়া: রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের হামলারি বিরোধীতা না করে কৌশলী ভুমিকা নিয়েছে। তবে সোলাইমানির প্রশংসা করে দেশটি বলেছে, সোলাইমানি ইরানি নাগরিকদের রক্ষায় কাজ করছিলেন। এজন্য ইরানি জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান। যুক্তরাষ্ট্র হামলা অব্যহত রাখলে পরমাণু যুদ্ধ হতে পারেও হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়। জাতিসংঘকেও হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়েছে রাশিয়া।

২. মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কড়া প্রতিবাদ জানান। সোলাইমানিকে হত্যার পর তিনি বলেন, এখন আমরা কেউ নিরাপদ নই। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন আমাকেও নিশানা করতে পারে। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের মধ্যে মাহাথির একমাত্র কড়া ভাষা ব্যবহার করেন।

৩. সৌদি আরব: সৌদি আরব মার্কিন হামলায় চুপ থাকলেও ইরানের পাল্টা হামলার পরপরই মুখ খোলে। দেশটি সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং রিয়াদের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ইরান যে হামলা চালিয়েছে তা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

৪. পাকিস্তান: ইরাকি স্থাপনায় ইরানের হামলার পরপরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইরাকে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। তবে হামলার পক্ষে-বিপক্ষে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

৫. ভারত: ভারতও হামলার বিষয়ে কোনো দেশের পক্ষ না নিয়ে ইরাকে থাকা দেশটির নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়। একই সঙ্গে জরুরী কাজ ব্যতীত ইরাকে গাড়ি ভ্রমণ না করারও পরামর্শ দেয়।

৬. চীন: চীন উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়। তবে বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্ঘাত থেকে নিবৃত থাকার আহ্বান জানায় দেশটি। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র জেন শুয়াং বলেন, আমরা উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।

ad

পাঠকের মতামত